ওয়াশিংটন: মার্কিন সাবেক ফার্স্ট লেডি বেটি ফোর্ড মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
১৯৮২ সালে তিনি নিজ উদ্যোগে বেটি ফোর্ড সেন্টার নামে একটি মাদক পুর্নবাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একাধারে ছিলেন একজন সমাজ সচেতন মানুষ এবং জনগণের পক্ষের শক্তি।
২০০৬ সালে তার স্বামী জেরাল্ড ফোর্ড মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মিসেস ফোর্ড তার পরিবারের সঙ্গে ক্যালির্ফোনিয়ায় ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিসেস ফোর্ডের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি জাতির অগ্রগামী নারী হিসেবে নারীদের স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে সবচেয়ে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর ছিলেন। ’
ওবামা আরও বলেন, ‘মিসেস ফোর্ড হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই মাদকবিহীন সমাজ নির্মানে এবং জনসচেতনা মূলক কাজে তৎপর ছিলেন। ’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ ডব্লিউ বুশ বলেন, ‘সততা আর আত্মসংযমকে সাথী করে মিসেস ফোর্ড জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত বেটি ফোর্ড সেন্টার হাজারো মানুষের জীবন পরিবর্তনে সাহায্য করেছে। ’
আরেক ফার্স্ট লেডি ন্যান্সি রিগ্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বেটি ফোর্ডের মৃত্যুতে আমি খুবই দুঃখিত। দেশের সকল সংকটময় পরিস্থিতিতে মিসেস ফোর্ড তার স¦ামীর প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন। ’
মিসেস ফোর্ডের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠনের নাম বেটি ফোর্ড সেন্টার। মাদকাসক্তদের পূর্ণবাসনে তিনি এই সেন্টার প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রতিষ্ঠানটি ক্যালির্ফোনিয়ার র্যানচো মিরেজ নামক এলাকায় অবস্থিত। এখানে এপর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি মাদকাসক্তকে চিকিৎসা সুবিধা পেয়েছে।
মিসেস ফোর্ড ১৯১৮ সালে শিকাগোর এলিজাবেথ এনি ব্লুমারে জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠেন মিশিগানে। নৃত্য শিক্ষার পর ২১ বছর বয়সে তিনি নিউইর্য়কের একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে আর্বিভূত হন।
ফোর্ড তার প্রথম স্বামী উইলিয়াম ওয়ারেন কে ১৯৪২ সালে বিয়ে করেন কিন্ত পাঁচ বছর পর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর কিছুদিন পরেই লেফটেনেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১১