কুয়ালামপুর: মালয়েশিয়ায় নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভরত ১৪শ`রও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, একজন পুলিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতায় দেওয়া হালনাগাদ খবরে জানা গেছে, বিক্ষোভ মিছিল থেকে ৯২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহীম এবং তার সঙ্গে থাকা একাধিক সংসদ সদস্যও রয়েছেন।
আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন, দেশটির সবচেয়ে বড় বিরোধী দল প্যান মালয়েশিয়া ইসলামিক পার্টির (পিএএস) প্রেসিডেন্ট আবদুল হাদী আওয়াং, বিক্ষোভ আয়োজনকারী জোট বারসিহের নেতা আমবিগা শ্রীনিবাস।
শনিবার সকালের দিকে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী কুয়ালালামপুরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে।
এ সময় প্রায় ৮ হাজার বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। টিয়ার সেল হাতে তুলে পুলিশের দিকে ছুঁড়ে মারতে তাদের দেখা গেছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে আয়োজকরা শনিবারের প্রতিবাদ মিছিল রাজপথের বদলে মেরদেকা স্টেডিয়ামে করতে সম্মত হয়েছিল। সরকার সমর্থকরা পাল্টা মিছিল করার ঘোষণা দেওয়ায় দাঙ্গা বেঁধে যাওয়ার শঙ্কায় তারা এটা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মিছিলের অনুমতি দিতে পুলিশের গড়িমসির কারণে বিক্ষোভকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাজপথেই নেমে আসে।
মালয়েশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে ২০১৩ সালে। কিন্তু বিরোধী জোট বেরসিহ ভোট কেনাবেচা এবং জালভোট ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে।
দ্য বেরসিহ ন্যাশনাল জোট প্রায় ৫০ বছর ধরে মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় ছিল। তবে ২০০৮ সালে এক নজিরবিহীন নির্বাচনী ফলাফলে বিরোধীদল ক্ষমতায় আসীন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১১