কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়ায় নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে শনিবারের বিক্ষোভে দমনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর নানামুখী সমালোচনার পর রোববার প্রধানমন্ত্রী আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন।
নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে শনিবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করলে দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে। এদিন রাজধানী কুয়ালালামপুর প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনমূলক আচরনের জন্য সারা বিশ্বে মানবাধিকার সংগঠনগুলো মালয়েশিয়া সরকারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এসময় পুলিশ ১৬শ’ জনেরও অধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করে। এর মধ্যে বিরোধী নেতা আনোয়ার ইবরাহীমও রয়েছেন।
তবে পরে মধ্যরাতে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে ৫৯ বছর বয়সী একজন ট্যাক্সি চালক দৌড়ে পালাতে গিয়ে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান।
বাহারউদ্দিন আহমদ নামে ওই ব্যক্তি একজন সাবেক সেনা সদস্য। তার ভাই মোহাম্মদ শারিন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
বাহারউদ্দিন মালয়েশিয়ার বিরোধী দল প্যান মালয়েশিয়া ইসলামিক পার্টির সদস্য। রোববার তার শেষকৃত্যে ৩০০ মানুষ অংশ নেয়।
পুলিশ এ মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে তবে লোকটি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে বলে তারা দাবি করছে।
এদিকে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নাজিব বিরোধী দলের সমালোচনা করে বলেন, তারা মালয়েশিয়াকে একটি নিপীড়ক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলেছিল। অথচ পুলিশ তদারক না করলে মিছিল কখনোই শান্তিপূর্ণ হতো না।
নাজিব অভিযোগ করেছেন, বিরোধী নেতা আনোয়ার ইবরাহীম এ র্যালীর প্রধান সংগঠক। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্খা বাস্তবায়নের পথ পরিষ্কার করতে র্যালিকে তিনি ব্যবহার করতে চেয়েছেন।
বিক্ষোভ র্যালিতে আনোয়ার ইবরাহীম সামান্য আহত হয়েছিলেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১১