ক্যানবেরা: মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ করে যারা সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণ করছে তাদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের পরিকল্পনা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে।
রোববার ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেন, ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে প্রতি একটন কার্বন নিঃসরণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (২৫ মার্কিন ডলার) করে কর পরিশোধ করতে হবে। ’
যে সব কোম্পানি প্রতিবছর কমপক্ষে ২৫ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস উৎপাদন করে, সেসব কোম্পানি এর আওতাভুক্ত হবে। তবে কৃষি, বন এবং ভূমি এই করের বাইরে থাকবে।
মোটরগাড়ি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোও এই করের আওতামুক্ত থাকবে তবে ভারী গাড়ি উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে এই কর দিতে হবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, সরকারের এ নতুন কর আরোপের ফলে পণ্যের বাজার মূল্য বেড়ে যাবে এক শতাংশের কাছাকাছি। বিরোধী দলও এ উদ্যোগের সমালোচনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, এতে করে অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে যাতে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে ইস্পাত উৎপাদনকারী, কয়লা খনি এবং বৈদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ভোক্তাদের জন্য অন্যান্য কর রেয়াতেরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়।
বিরোধী দলীয় নেতা টনি অ্যাবোট বলেন, তারা এই নতুন করারোপোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলবেন। টনি আরো বলেন, এক পক্ষীয় এই কার্বন কর দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৬০ ভাগ ভোটার সরকারের এই নীতির বিপক্ষে।
উল্লেখ্য, জনসংখ্যানুপাতে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। দেশটি তার ৮০ ভাগ বিদ্যুতের জন্য কয়লার ওপর নির্ভরশীল এবং অস্ট্রেলিয়া একটি প্রধান কয়লা রপ্তানিকারক দেশ।
এছাড়া দেশটির সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংস্কারের আওতায় ২০১৫ সালের মধ্যে প্রায় ৫০০ কোম্পানিকে এর আওতাভুক্ত করা হবে। এর পাশাপাশি বাজার ভিত্তিক বাণিজ্যিক পরিকল্পনা চালু হবে।
এ অবস্থায় সরকারের এ কার্বন কর আরোপ বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় বাধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১১