ইসলামাবাদ: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করতে পাকিস্তানের কোনো বৈদেশিক সহায়তা দরকার নেই। আমরা সোয়াত উপত্যক্যা এবং ওয়াজিরিস্থানে কোনো প্রকার সহায়তা ছাড়াই অভিযান পরিচালনা করেছি বলে জানান পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ গণযোগাযোগ বিভাগের ডিজি।
এদিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্কের দিন শেষ হলো বলে ভাবছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের কর্মকর্তা জর্জ পারকোভিচ। দুই দেশের মধ্যকার পার্থক্যগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র বড় করে দেখছে বলেও তিনি জানান।
পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রশিক্ষকদের উঠিয়ে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের করা অনুরোধের একদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দেয়া সকল সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়।
এ প্রসঙ্গে পেন্টাগণ মুখপাত্র কর্ণেল ডেভ লাপান বলেন, ‘বিগত আট মাসে ঘটা বেশ কিছু ঘটনা দুদেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটিয়েছে। যার কারণে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সামরিক প্রশিক্ষকদের সরিয়ে নিতে বলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অতিরিক্ত ভিসা দেবার ব্যাপারেও অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। ’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সেনাবহিনীর নেতারা আমাদের বলেছে এই পদক্ষেপ খুবই সাময়িক। পাকিস্তান থেকে আমাদের সমারিক প্রশিক্ষক এবং অন্যান্য সেনাসদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার মানে হলো তারা তাদের প্রশিক্ষনের জন্য যে সাহায্য আমাদের কাছ থেকে চেয়েছে তা তারা পাচ্ছে না। ’
যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে দেয়া ৮০ কোটি ডলারের সহায়তা ফিরিয়ে নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন হোয়াইট হাউসের চীফ অব স্টাফ টম ডনিলন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১১