ত্রিপোলি: লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির প্রশাসন ফরাসি সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। সোমবার প্রকাশিত গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-গাদ্দাফির এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানা গেছে।
সাক্ষাৎকারে সাইফ বলেন, ‘সত্য হচ্ছে, আমরা ফ্রান্সের সঙ্গে সমঝোতা করছি, বিদ্রোহীদের সঙ্গে নয়। ’
সাইফ আরও বলেন, “নিকোলা সারকোজির কাছে পাঠানো আমাদের দূত জানিয়েছেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমরা বিদ্রোহী পরিষদ গঠন করেছি এবং আমাদের সমর্থন, অর্থ ও অস্ত্র ছাড়া এ পরিষদ গঠন হতো না’। ”
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রান্স এও বলেছে, আপনাদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলে আমরা অস্ত্রবিরতির জন্য বিদ্রোহীদের ওপর চাপ দেব। ’ এ ব্যাপারে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেরার্দ লোংগে রোববার বলেছেন, ‘লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গাদ্দাফির সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়ার এটাই সময়। ’
তিনি বলেন, গাদ্দাফির পরাজয় পর্যন্ত বিদ্রোহীদের অপেক্ষা করা উচিত হবে না। তিনি এও ইঙ্গত দেন, প্যারিসের লক্ষ্য গাদ্দাফিকে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত করা।
এদিকে ওয়াশিংটন বলেছে, গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতির ব্যাপারে তারা এখনো নিশ্চিত।
ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গাদ্দাফির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিদ্রোহীরা।
আলোচনায় বসার আগে ফ্রান্সের সরকারি টিভি সেন্টার বিএফএম টিভিতে লোংগে বলেছেন, ‘আমরা তাদের পরস্পরকে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছি। ’
গাদ্দাফি ক্ষমতা না ছাড়লেও আলোচনা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি তার প্রসাদেই থাকবেন। তবে অন্য কক্ষে, অন্য পদবিতে। ’
তবে এর কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ থেকে একটি বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে যাতে সমঝোতার ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে লিবিয়ার জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি গাদ্দাফি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। ’
ন্যাটো জোটের শরীক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার জনগণের নিরাপত্তা বিধানে তার সাধ্য মতো সহায়তা দিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তারা এও বিশ্বাস করে, লিবিয়াতে আন্তর্জাতিক জোট গাদ্দাফির ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।
বেনগাজিতে বিদ্রোহীদের নেতাদের পক্ষ থেকে ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১১