ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়িতে সন্তান জন্মদানের হার ২০ ভাগ বেড়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১১

ওয়াশিংটন: বাড়িতে বসে সন্তানের জন্মদান হাসপাতালে যাওয়ার চেয়ে অনেকটা কম খরচায় সম্ভব বলে একজন মা এটা পচ্ছন্দ করেন। আর একজন মা তার সন্তান জন্মদানে কোন যন্ত্রপাতির সাহায্য নিতে চান না কিংবা ভয় পান।

তৃতীয় আরেক মা হাসপাতালে প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এখন তিনি দ্বিতীয় সন্তানের জম্ম বাড়িতে বসে দিতে চান।

সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে তিন মায়ের মতামত ভিন্ন হলেও মে মাসে প্রকাশিত সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র একটি জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়িতে বসে সন্তান জন্মদানের হার ২০০৪ থেকে ২০০৮ এ শতহরা ২০ ভাগ বেড়েছে। ২০০৪-২০০৮, এই চার বছরে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মায়ের মধ্যে ২৮ হাজার তিনশো ৫৭ জন মা বাড়িতে বসে তাদের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
 
২০০৮ সালে পরিচালিত ওই জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ৯৮ জন শ্বেতাঙ্গ মায়ের মধ্যে একজন মা তাদের একটি সন্তানের জন্ম বাড়িতে দিয়েছেন। ৩৫৭ জন কৃষ্ণাঙ্গ মা একটি সন্তানের জন্ম বাড়িতে এবং ৫০০জন হিস্পানিক মা তাদের একটি  সন্তানর জন্ম বাড়িতে বসে দিয়েছেন।

লাস ভেগাসের শেরি হপকিন্স নামের একজন ধাত্রী জানান, বাড়িতে বসে সন্তান জন্মদানের জন্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক এবং সেবিকার জন্য একটি জরুরি কক্ষ দরকার। তিনি বলেন, আমরা দেখছি শিক্ষিত এবং জানাশোনা লোকজন বাড়িতে বসেই তাদের সন্তানের জন্ম দিতে পছন্দ করেন।
 
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক নৃ-বিজ্ঞানী এবং বিশ্ব শিশু জন্মদানের প্রবণতা বিষয়ের গবেষক রব্বি ডেভিস ফ্লোয়েড বলেন, ১৯৭০সালের প্রথম দিকে হাসপাতালের বাইরে সন্তান জন্মদানকে একটি সংস্কৃতিবিরোধী কাজ হিসেবে দেখা হত। কিন্ত এখন ধাত্রীরা দক্ষ এবং বিশ্বাসী হওয়ায় হাসপাতালে যাওয়ার প্রবণতা কমে এসেছে।

বাড়িতে বসে সন্তান জন্মদানকারীরা বলছেন, বাচ্চাদের জন্মের সময় তারা চিকিৎসকদের গভীর পর্যবেক্ষণ এবং ওষুধ নেয়া থেকে বিরত থাকতে চান। তার তুলনায় বরং তারা বাড়িতে আপনজনদের সান্নিধ্যে পেতে ভালোবাসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।