করাচি: সিন্ধু প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে নিহত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
বুধবার রাতভর সংঘর্ষে করাচি, হায়দারাবাদ এবং সিন্ধুর অন্যান্য অংশে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
সিনিয়র প্রাদেশিক মন্ত্রী জুলফিকার মির্যা মুত্তাদিয়া কওমি মুভমেন্টের প্রধান আলতাফ হুসাইনকে কটূক্তি করার পরপরই সিন্ধুর বিভিন্ন স্থানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটল।
তবে এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন মির্যা। ডন পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘দেশ বিভাগের পর উর্দু ভাষা-ভাষীরা আমাদের এ প্রদেশে এসেছে। তারা আমাদের ভাই। আমার বক্তব্যে কেউ মনে আঘাত পেলে আমি তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ’
এদিকে বৃহস্পতিবার করাচির বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বালদিয়া, গুলশান-ই-ইকবাল, গুলিস্তান-ই-জোহর, অরাঙ্গি, জাহাঙ্গীরাবাদ, গোলিমার,কোরাঙ্গি শহরগুলোতেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হায়দারাবাদের ঘটনায় সেখানকার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সেখানে একজন অপরিচিত ব্যক্তি নির্বিচারে গুলি করা শুরু করে। গুলিতে একজন মানুষ নিহত হয় এবং পাঁচ জন আহত হয়। ’
শহরের অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
করাচি শহরে ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। এই শহরের গোষ্ঠিগত, ধর্মীয় এবং দলগত কোন্দলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
কয়েকদিন আগেই করাচিতে গোষ্ঠিগত এবং রাজনৈতিক দাঙ্গায় শতাধিক মানুষ মারা যাবার পরেই এই ঘটনাটি ঘটলো।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতারা উত্তেজনা প্রশমনে বলেন, ‘মির্যার বক্তব্য তার নিজের। তার বক্তব্য পুরো পার্টির বক্তব্য নয়। কিন্তু সংঘর্ষ হবার মতো বক্তব্য ওটা নয়। ’
‘আমি উর্দু ভাষাভাষি জনগণের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি যারা এই বক্তব্যে আঘাত পেয়েছেন’- বলে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে মালিক আরও বলেন, ‘আমি আমাদের নেতাদের পক্ষ হয়ে বলছি এবং আমাদের সামগ্রিক নেতৃত্ব এই বক্তব্যকে অস্বীকার করে। ’
এমকিউএম পার্টির সিনিয়র নেতা ওয়াসিম জলিলও এই সংঘর্ষের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই প্রতিবাদ জানাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১১