নিউইয়র্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের নতুন সদস্য দেশ হিসেবে ঘোষিত হলো দক্ষিণ সুদানের নাম। বৃহস্পতিবার সকালে জাতিসংঘের ১৯৩তম সদস্য দেশ হিসেবে নাম ঘোষণা হয় দক্ষিণ সুদানের।
বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সাধারণ সভায় বিশ্বের সবচেয়ে নতুন দেশ হিসেবে দক্ষিণ সুদানকে সদস্য পদ দিতে সুপারিশ করে। এই সুপারিশের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সাধারণ সভায় দক্ষিণ সুদানকে জাতিসংঘের সদস্য পদ দেয়া হয়।
সদ্য জাতিসংঘ সদস্য পদ পাওয়া দেশ দক্ষিণ সুদানকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, ‘অভিনন্দন দক্ষিণ সুদান। জাতিসংঘের পরিবারে স্বাগতম। ’
সাধারন সভার প্রেসিডেন্ট জোশেপ ডেইস বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক এবং আনন্দঘন মুহুর্ত। ’
জাতিসংঘের সদরদপ্তরে এখন থেকে শোভা পাবে কালো,লাল এবং সবুজ ডোরাকাটা দক্ষিণ সুদানের জাতীয় পতাকা।
নতুন এই দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি। কিন্তু বৃহস্পতিবার উত্তর সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধিরা পেছনের সবকিছু ভুলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দুদেশের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সুদান এখন পর্যন্ত আফ্রিকার সবচেয়ে বৃহৎ দেশ। দেশটি ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
গত জানুয়ারি মাসে গণভোটের ভেতর দিয়ে আফ্রিকার সর্ববৃহৎ দেশ সুদান ভেঙে দক্ষিণ সুদান নামে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
২০০৫ সালের শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবেই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। যার ফলে দেশটিতে এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে। দেশটির উত্তরাংশে আরব মুসলিমরা কৃষ্ণাঙ্গ খ্রিস্টান ও অ্যানিমিস্ট অধ্যুষিত তেল সমৃদ্ধ দক্ষিণ সুদান নিয়ন্ত্রণ করত।
গত শনিবার বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে দক্ষিণ সুদানিরা তাদের স্বাধীনতা উদযাপন করে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশটি শুধু মাত্র নামেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণ, তেল এবং নাগরিকদের বিষয়ে কোনো মীমাংসা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১১