টোকিও: ইউরোপ থেকে পরমাণু অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ন্যাটোর সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে এবং সামরিক খাতে খরচ কমানোর উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার জাপানের একটি পত্রিকা জানিয়েছে।
এদিকে ইউরোপের দেশগুলোর সব ধরনের স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে ওয়াশিংটন ন্যাটোর অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে বলে জানিয়েছে জাপানের প্রভাবশালী পত্রিকা আসাহি সিমবুন।
রুশ-মার্কিন শীতল যুদ্ধ চলাকালীন কৌশলগত কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরমাণু বোমাগুলো স্থাপন করা হয়েছিল।
আগামী মাসগুলোতে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। আগামী বছরের মে মাসে শিকাগোতে অনুষ্ঠেয় ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিবারেল ডেইলি এ কথা জানিয়েছে।
ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা পর্যালোচনার অংশ হিসেবে এ আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াশিংটন দপ্তরে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরমাণু অস্ত্র মজুদ ও কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র হ্রাসকরণ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাশিয়ার সঙ্গে যে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগ।
এ বছরই রুশ-মার্কিন পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির বিষয়ে ইতিবচাক সাড়া দিয়েছে উভয় দেশ।
ইউরোপ যদি সব অস্ত্র প্রত্যাহারে রাজি হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় গতি আনবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, জাপানই একমাত্র দেশ যে পরমাণু অস্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এর দুটি শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে জাপান পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১১