ওয়াশিংটন: ফোনে আড়িপাতার ঘটনায় মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডকের নিউজ করপোরেশনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার শিকার এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে এ তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছেন।
সূত্র বলেন, ‘ওই অভিযোগের ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি এবং এগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। ’ স্পর্শকাতর বিষয় বলে তদন্তের স্বার্থে ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিউজ করপোরেশনের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পক্ষে কাজ করেছে এমন ব্যক্তির ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তারা কোনো আইন ভঙ্গ করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ’
কেবলমাত্র তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ কাকে দিয়ে শুরু করা হবে সে ব্যাপারে সূত্র কিছু বলেননি। তবে বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ সপ্তাহের প্রথম দিকে কংগেসে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি রিপাবলিকান পিটার টি কিং এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুয়েলারকে এ তদন্তের আহ্বান জানান। তিনিই বলেছিলেন, মারডকের সাংবাদিকরা ৯/১১ এ হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে আড়ি পেতেছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
এদিকে এফবিআই’র তদন্ত বিষয়ে নিউজ করপোরেশন কোনো মন্তব্য করেনি। ফোনে আড়িপাতার বিষয়ে ব্রিটেন পার্লামেন্টে শুনানির জন্য যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এসময় নিউজ করপোরেশনের প্রধান রুপার্ট মারডক তার প্রতিষ্ঠানের অপর একটি পত্রিকা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে এক সাক্ষাতকারে বলেন যে, তার বিশ্বাস তার কোম্পানি এ সঙ্কট মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব উপায়ই খুব ভালভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে।
আগামী মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রাজনীতিকদের মুখোমুখি হবেন বলেও জানিয়েছেন মারডক। সেই সঙ্গে তার ছেলে জেমস মারডক এবং সদ্য পদত্যাগকারী নির্বাহী প্রধান রেবেকা ব্রুকসও শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
ফোনে আড়িপাতার দায়ে গত রোববার মারডকের মালিকানাধীন অনেক পুরনো পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড বন্ধ হয়ে গেলো। ১৬৮ বছর ধরে পত্রিকাটি ব্রিটিশ গণমাধ্যমে বেশ প্রভাবশালী ছিল।
মারডকের সংবাদকর্মীরা মার্কিন নাগরিকদের ফোনেও আড়ি পেতেছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত করতে সহযোগিতা করার জন্য তথ্য বিনিময়ের আবেদন জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কাছে চিঠি দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১১