ত্রিপোলি: লিবিয়ার বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তবর্তী পরিষদকে (টিএনসি) জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ৩০টিরও বেশি দেশ।
বিদ্রোহীদের প্রতি এতোগুলো দেশের এই স্বীকৃতি মুয়াম্মার গাদ্দাফির ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রশ্নে একটি বড় ধাক্কা বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
তুরস্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক লিবিয়া যোগাযোগ গ্রুপের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এর ফলে গাদ্দাফির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে এবং বিভিন্ন দেশে সরকারের জব্দ করা অর্থ বিদ্রোহীদের হাতে স্থানান্তরে বৈধতা পাবে।
গত মার্চ থেকে লিবিয়াতে গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে ন্যাটোর সামরিক অভিযান শুরুর পর ইস্তাম্বুলে বিদ্রোহীদের সমর্থক দেশগুলোর চতুর্থবারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত আসল।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক ব্যাংকে জব্দ করা গাদ্দাফির ৩ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি পরিমাণ সম্পদ এখন মার্কিন সরকার বিদ্রোহীদের জন্য অবমুক্ত করতে পারবে।
এরই মধ্যে ফ্রান্স গাদ্দাফির সমর্থকদের জব্দ করা ২৫ কোটি ডলার এবং ইতালি ১০ কোটি ডলার বিদ্রোহীদের দিতে সম্মত হয়েছে। কাতার এবং কুয়েত এরই মধ্যে ১০ কোটি ডলার দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এতোগুলোর দেশের এ স্বীকৃতি গাদ্দাফিকে অপসারণ করতে বিদ্রোহীদের শক্তি যোগাবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো।
লিবিয়ার বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তবর্তী পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তার (!) ঘোষণার পর উল্লাস প্রকাশ করেছে। তবে গাদ্দাফির দখলে থাকা রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রবেশের জন্য সামর্থ অর্জনে আরও অর্থ সহায়তার আবেদন জানিয়েছে বিদ্রোহীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১১