কলকাতা: ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে শনিবার সকালে ছিটমহলে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ গণনাকারীরা জনগণনা শুরু করেছেন।
জনগণনা শুরু হওয়ার আগে গণনাকারীদের ছিটমহলবাসীরা স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী পান, সুপারি ও গামছা গলায় পরিয়ে বরণ করে নেন।
পাশপাশি পোড়ানো হয় আতশবাজি। কেউ কেউ আনন্দের আতিশয্যে রঙ খেলাও শুরু করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর এই প্রথম ছিটমহলে জনগণনার কাজ শুরু হল। ভারতের অভ্যন্তরে কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার ১৯টি ছিটমহলে দু’দেশের ১৯টি প্রতিনিধি দল এদিন গণনার কাজ শুরু করে।
দিনহাটার মহকুমার প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের পূর্ব মশালডাঙা, মধ্য মশালডাঙা, বাকলির ছড়া, পোয়াতের কুঠি, শিবপ্রসাদ মুস্তাফি, দক্ষিণ মশালডাঙা, দীর্ঘলটারি, করলা, কত্রিগাছা, নলগ্রামসহ ১৯টি ছিটমহলে গণনার কাজ শুরু হয়েছে।
কোচবিহারের জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বাংলানিউজকে টেলিফোনে বলেন, ‘দু’দেশের মোট ১৬২টি ছিটমহলে ১২৫টি দল এই কাজ করছে। ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটে মোট ৫০টি ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১টি ছিটে ৭৫টি দল এক সঙ্গে কাজ করছে। ’
রোববার এ গণনার কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহলগুলো দাশিয়ার ছড়া, গারাপি, শালবাড়ি, পুঁটিমারি, বাঁশকাটা, পাটগ্রামসহ ছিটমহলগুলোতে এ কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, জনগণনার কাজ শুরু হতেই উৎসবে মেতে ওঠেছেন ছিটমহলবাসীরা।
ছিটমহল বিনিময় কমিটির সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলনের পর এই কাজ শুরু হল। এজন্য দু’দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু ছিটমহল বিনিময় ও নাগরিকত্বের দাবি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। ’
কোচবিহারের সাংসদ নৃপেণ রায় বলেন, ‘জনগণনার পর ছিটমহলগুলো বিনিময় ঘটলে পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলগুলোতে উন্নয়নের জোয়ার আসবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১১