লন্ডন: নিউজ ইন্টারন্যাশনালে মারডকের ক্ষমতা কমাতে নতুন গণমাধ্যম মালিকানা আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড।
মিলিব্যান্ড মনে করেন, কোম্পানির সব ক্ষমতা ‘ভয়ঙ্করভাবে’ মারডকের হাতে কেন্দ্রীভূত।
ফোন হ্যাকিং কেলেংকারির জন্য ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে রুপার্ট মারডক গত শনিবার সব জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর মিলিব্যান্ড এ আহ্বান জানালেন।
ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর আগে কোম্পানির সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
একটি পত্রিকা বন্ধের পর ব্রিটেনে দ্য সান, দ্য টাইমস, দ্য সানডে টাইমস এবং বিস্কাইবি’র ৩৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব নিয়ে নিউজ ইন্টান্যাশনাল (ব্রিটেন অংশে নিউজ করপোরেশন) বর্তমানে একটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
বিস্কাইবি’র সম্পূর্ণ শেয়ার কিনে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। তবে ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহল থেকে নানমুখী চাপের মুখে অবশেষে মারডক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন।
তবে, কেলেংকারির ঘটনায় ব্রিটেনে নিউজ করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী রেবেকা ব্রুকস এবং অপর একজন নির্বাহী কর্মকর্তা ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।
নতুন মালিকানা আইন করার আহ্বান জানিয়ে মিলিব্যান্ড বলেন, ‘আমার মনে হয়, পত্রিকার বাজারে একজন মাত্র ব্যক্তির ২০ শতাংশের বেশি মালিকানা থাকলে কেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ’ এ ব্যাপারে স্কাই এবং স্কাই নিউজের উদাহরণ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা বিপজ্জনক, কারণ একজন ব্যক্তির হাতে এতো বেশি পরিমাণ ক্ষমতা থাকলে সংগঠনে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করার সহজ সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি ক্ষমতার এই অপব্যবহার ন্যূনতম মাত্রায় কমিয়ে আনতে চান তাহলে ক্ষমতার এই কেন্দ্রীভবন নিঃসন্দেহে খুবই ক্ষতিকর। ’
সাক্ষাতকারে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, বর্তমান গণমাধ্যম মালিকানা আইন একেবারে সেকেলে। তিনি একে ‘ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ আইন’ বলে বর্ণনা করেন। ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটাল এবং স্যাটেলাইট সম্প্রচার যুগে এই আইন সম্পূর্ণ অচল বলে মত দেন এড মিলিব্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১১