ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মন্ত্রিসভা গঠনে থাকসিনের হস্তক্ষেপ চায় না থাই জনগণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১১
মন্ত্রিসভা গঠনে থাকসিনের হস্তক্ষেপ চায় না থাই জনগণ

ব্যাংকক: থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ জনগণই নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে থাকসিন সিনাওয়াত্রার হস্তক্ষেপ চান না। রোববার এবিএসি’র প্রকাশিত এক জনমত জরিপে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।



জরিপটি জুলাইয়ের ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ১৬ তারিখ পর্যন্ত চলে এবং এতে থাইল্যান্ডের ১৭ টি প্রদেশের দুই হাজার একশ চোদ্দ জন তাদের মতামত জানায়।

জরিপে ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ নতুন গঠিত মন্ত্রিসভায় থাকসিন সিনাওয়াত্রার সংশ্লিষ্টতা চান না। কারণ এতে করে থাকসিনের বিরোধীরা দেশকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে পারে অথবা আবারও ক্যু করতে পারে। অপরদিকে ৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ মন্ত্রিসভায় থাকসিনের সম্পৃক্ততা চাচ্ছে এবং এর কারণ হিসেবে দেশের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে থাকসিনের রাজনৈতিক দক্ষতাকে দেখা হচ্ছে।

থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে এখনও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজিভাকে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রধান এবং ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ফিউ থাই পার্টির প্রধান বলে লিখিত আছে। আর নির্বাচন কমিশনের এই ভুলের জন্য জরিপে মতামত প্রদানকারী ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ হতাশ। একই সঙ্গে তারা এও ভয় পাচ্ছেন যে, যদি তারা দুজনেই অনুমোদিত না হন তাহলে আবারও রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়ে যেতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার সোদশ্রী সত্যথাম জনমত জড়িপের গুরুত্ব প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে বলেন, ‘যদি নির্বাচন কমিশন এখনও ৩০ দিনের মধ্যে আইনানুযায়ী মোট সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৯৫ শতাংশকে অনুমোদন না দেয় তাহলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তদন্ত শুরু করবে এবং পরবর্তীতে তদন্তের ভিত্তিতে লাল কার্ড অথবা হলুদ কার্ড দেওয়া হবে। ’

অন্যদিকে, জরিপে মতামত প্রদানকারী ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের সঙ্গে একমত এবং ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ নিরপেক্ষ রয়েছেন।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এ ঘটনায় ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ বড় ধরনের, ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মাঝামাঝি ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে এটা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিজিত ভেজ্জাজিভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ডেমোক্র্যাট পার্টির সভাপতি হতে পদত্যাগ করেন। কিন্তু থাই নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে এখনও তাকে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।