লন্ডন: ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়ে ২০০৫-০৬ সালে পুলিশের তদন্তে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাধা দিয়েছিলো নিউজ ইন্টারন্যাশনাল। ব্রিটিশ সংসদীয় কমিটি এ ব্যাপারে প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সর্বদলীয় কমিটি বুধবারই এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে বলে জানা গেছে। দিন শেষে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও এই কেলেংকারি নিয়ে একটি ববিৃতি দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডকের কোম্পানি নিউজ ইন্টারন্যাশনালের অধীন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এর ফোনে আপি পাতার বিষয়ে মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মারডককে জেরা করেছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।
মারডক ও তার ছেলে জেমস মারডককে পার্লামেন্টে জিজ্ঞাসাবাদে পরদিনই এমন গুরুতর একটি অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছে সংসদীয় কমিটি।
গার্ডিয়ানে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ২০০৫-০৬ সালে বিভিন্ন ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু মূল কোম্পানি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তে উদ্দেশ প্রণোদিতভাবে বাধা দেয় বা দেওয়া চেষ্টা করে। এমনকি প্রয়োজনীয় যথেষ্ট উপাদানও সরবরাহ করা হয়নি যা দিয়ে ফোন হ্যাকিংয়ে জড়িত এবং এর শিকার অন্য ব্যক্তিদের সনাক্ত করা যেত।
ওই সময় তদন্তকাজে জড়িত মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য থেকে সংসদীয় কমিটি এসব প্রমাণ জোগাড় করেছে বলে তারা জানিয়েছেন।
কমিটি মঙ্গলবার জানতে পেরেছে, পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে তথ্য আদায়ের বিষয়টি উদ্ঘাটন করেছেন পাবলিক প্রসিকিউশনের সাবেক পরিচালক লর্ড ম্যাকডোনাল্ড। নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের ইমেইল ঘেঁটে তিনি এসব তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই ইমেইল ও অন্যান্য নথিপত্র নিউজ ইন্টারন্যাশনাল অথবা কোম্পানিটির আইনজীবীদের কাছে বহুদিন থেকেই ছিল।
কমিটির সভাপতি কিথ ভাজ বলেছেন, ‘ঘটনা তদন্তে মেট্রোপলিটন পুলিশের ব্যর্থতার দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। নিউজ ইন্টান্যাশনাল অনেক তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টার প্রমাণও রয়েছে ঢের। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১১