মোগাদিসু: তীব্র খরায় পর্যুদস্ত আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার দু’টি অঞ্চলকে দুর্ভিক্ষ পীড়িত বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ জানিয়েছে , দেশটির দিক্ষণাঞ্চলের বাকুল ও শাবেলের নিম্নাঞ্চলে মানবিক পরিস্থিতির খুব দ্রুত ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
এদিকে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য সোমালিয়ার সশস্ত্রগ্রুপগুলোর কাছ থেকে আরও বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রয়োজন রয়েছে।
সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণাংশ নিয়ন্ত্রণ করে সশস্ত্র গ্রুপ আল শাবাব। এদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার যোগাযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে কোনো বিদেশি ত্রাণ নিষিদ্ধ করেছিল তারা। তবে সাম্প্রতিক খরায় ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কট দেখা দিলে তারা এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
অর্ধশতাব্দির মধ্যে এবারের এ ভয়াবহতম খরায় পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে প্রায় এক কোটি মানুষ খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে। ১৬ লাখ ৬ হাজারেরও বেশি সোমালী প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী দেশ কেনিয়া ও ইথিওপিয়াতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
সোমালিয়াতে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়ক মার্ক বাউডেন জানান, দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় আগামী দুই মাসের জন্য ৩০ কোটি ডলার ত্রাণ সহায়তা লাগবে।
এ বিষয়ে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব অ্যানড্রু মিচেল বলেছেন, সোমালিয়ার সঙ্কট মোকাবেলায় ইউরোপীয় এবং উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে যে সাড়া পাওয়া গেছে তা তামাসার পর্যায়ে এবং ভয়ঙ্করভাবে অপ্রতুল।
তিনি বলেন, ‘দু’টি এলাকাকে দুর্ভিক্ষপীড়িত ঘোষণা করাই প্রমাণ করে সেখানকার পরিস্থিতি কতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। তাদের সাহায্যে বিশ্বের এগিয়ে আসার এটাই সময়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১১