নিউইয়র্ক: সোমালিয়ার দুটি অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। গত ৬০ বছর ধরে পূর্ব অফ্রিকার এই অঞ্চল দুটিতে ক্ষরা এবং খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
সোমালিয়া বিষয়ক মানবাধিকার রক্ষা সংস্থা কর্মকর্তা মার্ক বৌডেন বুধবার দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘বর্তমানে সোমালিয়ার বাকোল এবং লোয়ার শাভেলে অঞ্চল দুটিতে দুর্ভিক্ষ চলছে। তবে যেকোনো মুহুর্তে এটা প্রাদুর্ভাব আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ’
তিনি সতর্কবানী উচ্চারণ করে আরও বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ পরিস্তিতি মোকাবেলায় যদি আমরা এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করি তাহলে দুই মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আরও আটটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ’
প্রয়োজনীয় খাবার, পরিস্কার পানি, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্য সুবিধার চরম সংকট এখানে। কয়েকহাজার সোমালীকে বাঁচাতে এখনই এই সুবিধাগুলো দরকার।
খরা, দারিদ্র এবং সহিংসতা এই অঞ্চলগুলোর দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে ওই অঞ্চলগুলোতে প্রতিদিন ৪ জনেরও বেশি শুধু শিশুই মারা যাচ্ছে। আর এই দুর্ভিক্ষের ফলে ঝুঁকিতে আছে প্রায় এক কোটি দশ লাখ মানুষ।
জাতিসংঘ মতে, সোমালিয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে লোয়ার শাভেলে, মধ্য এবং লোয়ার জুবা, বে, বাকোল,বেনদির, গোদো এবং হিরানে তিন লাখ দশ হাজার মানুষ ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা এ্যান্ড্রু মিচেল বলেন, ‘সোমালিয়ায় নারী,পুরুষ এবং বাচ্চারা না খেতে পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একেবারে শেষ মুহুর্তে এসে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা হলো। বিশ্বের দেশগুলোর সোমালীদের সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়ার এখনই সময় । ’
সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সোয়াতের বিশাল একটি অংশ এবং মধ্যাঞ্চল আলকায়েদা নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত আল শাবাব গোষ্ঠির নিয়ন্ত্রণে। সংগঠনটি ২০০৯ সালে তাদের নিয়ন্ত্রানাধীন অঞ্চলে সকল প্রকার ত্রান দাতা সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তারা সীমিত পরিসরে হলেও কিছু কিছু ত্রান দাতা সংস্থাকে কাজ করতে সুযোগ দিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র আদ্রিয়ান এডওয়ার্ড বলেন, ‘সোমালিয়ায় আমাদের উপস্থিতি খুবই কম। ঠিক কি পরিমান সহায়তা দরকার তাদের সেটা জানার জন্য আমাদের দেশটি পরিদর্শন করা দরকার। ’
বাংলাদেশ সশয়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১১