নিউইয়র্ক: জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যৎ শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আচিম স্টেইনার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাত্রা ব্যাপকভাবে বাড়াবে।
এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের যোগসূত্র রয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এমন একটি বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। বিবৃতিটিতে অবশ্য পরে তারা একমত হয়েছে তবে সংশোধিত ও অনেকটা নমনীয় বিবৃতির প্রেক্ষিতে।
তবে রাশিয়ার দূত আলেকজান্ডার পানকিন জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরপত্তা পরিষদের নেওয়া উদ্যোগ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পরিষদের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ের সম্ভাব্য করণীয় ঠিক করতে একমত হয়েছে।
কূটনীতিকরা বলছেন, রাশিয়া যদিও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জাতিসংঘের সম্ভাব্য করণীয় ঠিক করতে একমত পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু এর আগে বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানির তুমুল বিতর্ক হয়।
স্টেইনার আরও সতর্ক করেন, ইদানীং সারা বিশ্বে প্রাকৃতিক বিপর্যয় যে হারে বাড়ছে তাতে আগামী দশকগুলোতে এটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে।
সোমালিয়াতে চলমান খরা এবং দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সঙ্কট মোকাবেলায় আমাদের সামর্থও একটি চ্যালেঞ্জ বলেই প্রমাণিত হচ্ছে। বিশেষ করে এমন ঘটনা যদি একই সঙ্গে একাধিক স্থানে ঘটতে থাকে তাহলে বিশ্বের খাদ্য বাজার, আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা, মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং শরণার্থী হওয়ার বিষয়গুলো প্রভাবিত হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এর আগে ২০০৭ সালে বিশ্বশান্তিতে জলবায়ু পরিবর্তন কোনো প্রভাব ফেলছে কি না ব্রিটেনের প্রস্তাবিত এমন একটি বিতর্কে নিরাপত্তা পরিষদ একমত হতে পারেনি।
গত দশকে সোমালিয়াতে ভয়াবহতম খরা এবং এর দু’টি অঞ্চলকে দুর্ভিক্ষ পীড়িত ঘোষণা দেওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এই বিষয়টি আবার সামনে নিয়ে আসল।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, দুর্ভিক্ষের কারণে ৩০ শতাংশেরও বেশি শিশু চরম অপুষ্টির শিকার হয় এবং প্রতিদিন মারা যায় ১০ হাজারে ৪টি শিশু।
পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে বিভিন্ন সঙ্কটের কারণে এক কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১১