কায়রো: মিশরের আসন্ন নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রবেশের অনুমতি দেবেনা সেনাশাসিত সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার একজন সদস্য এ কথা জানিয়েছেন।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে নির্বাচনী ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন দেশটির নাগরিকরা।
মেজর জেনারেল মামদুহ শাহীন বুধবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে নতুন এই আইন সম্পর্কে বলেন, ‘মিশরের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নির্বাচনে বর্হিবিশ্বের পর্যবেক্ষণ বন্ধ ঘোষণা একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমাদের কোনো কিছুই লুকোনোর নেই। যা-ই আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে তাই আমরা বাতিল করবো। ’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মিশরের পর্যবেক্ষকরাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের হাফেজ আবু সাদা জানান, সেনাদের তরফ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রত্যাখ্যানের এই আইন ক্ষমতাচ্যুত শাসক হোসনি মোবারকের আমলেরই প্রতিধ্বনি।
তিনি বলেন, আধুনিক নির্বাচনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বিদেশি পর্যবেক্ষণ। মিশরে কী হচ্ছে তা অনেক দেশই পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা কোনো ইতিবাচক সংকেত নয়।
নতুন নির্বাচনী আইনে নিম্মকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে প্রার্থীর বয়স ২৫-৩০ এর মধ্যে হতে হবে। এর ফলে হোসনি মোবারককে ক্ষমতাচ্যুত করতে যেসব তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবে।
উচ্চকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ৩৫ হতে হবে। আর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ৩৯০ সদস্যদের মধ্য থেকে ১০০ জন তরুণকে নিয়োগ দিবেন।
আগস্ট মাস শেষ হওয়ার আগেই বর্তমান সেনা সরকার দেশটির সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করবে বলে জানান শাহীন।
এদিকে, দেশটির পরিবর্তিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৃহস্পতিবার শপথ নিবেন। ঘোষণা অনুযায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীসহ অন্তবর্তী সরকারের প্রায় অর্ধেক মন্ত্রীই তাদের নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানসুর এল এশায়ি তার পদেই বহাল রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জুলাই ২১,২০১১