করাচি: করাচির বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১৮ জন এবং আহত হয়েছেন অনেকে। করাচি পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক করাচি থেকে সেনা অভিযান প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করার পরপরই এ সহিংসতার ঘটনা ঘটলো।
বিগত কয়েকদিন ধরেই মালির এবং লানধিতে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলছিল। রোববার শহরের একটি রেষ্ট্রুরেন্ট
এবং একটি মিষ্টির দোকানে হামলার মধ্য দিয়ে পুরো শহরেই এ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মালিরে দুইটি রকেট হামলা হয় বলেও জানা যায়।
বাণিজ্যিক এলাকাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে শহরের অধিবাসীরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
সবচেয়ে সহিংসতাপ্রবণ এলাকাগুলো হলো মালির, লানধি, উত্তর করাচি, সুরজানি, বালদিয়া, লেয়ারি এবং ওরাঙ্গি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই সকল এলাকায় প্রবেশ করছে না। তাদেরকে শুধুমাত্র মূলসড়কে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে রেহমান মালিক বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি জরুরী ভিত্তিতে এক সভার ডাক দিয়েছে। এই আলোচনা সভায় করাচি শহর এবং এই প্রদেশের অবস্থার উন্নয়নে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা হবে। ’
করাচির সহিংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের কিছু মন্ত্রী মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে মোহাজির কওমি মুভমেন্ট।
অপরদিকে মোহাজির কওমি মুভমেন্ট(হাকিকি গ্রুপ) প্রেসিডেন্টের কাছে তাদের উপর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
ধারনা করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শহরের মোতায়েন করে জনগণের উদ্বেগ দুর করতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সব পার্টিকেই এই অবস্থার উন্নয়নে হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে বলেও আহবান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক।
সূত্র মতে, লেয়ারির উন্নয়ণ প্রকল্পের ব্যাপারে যে প্রনোদনা দেওয়ার কথা ছিল সেটা এই আলোচনা সভায় ঘোষণা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১১