প্যারিস: বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফির একটা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে লিবিয়া অভিযানের ইতি টানতে চাচ্ছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন। মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে দেশে থাকতে দেওয়ার শর্তে ক্ষমতা ছাড়ার প্রস্তাবে বিদ্রোহী ও আন্তর্জাতিক মহলকে চাপ দিচ্ছে এই দুই দেশ।
প্রথম দিকে ব্রিটেন অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতি এবং নির্বাসন দাবি করলেও সম্প্রতি তারা অবস্থান বদলেছে। লিবিয়ায় সামরিক অভিযান পরিচালনাকারীদের মধ্যে অগ্রবর্তী ফ্রান্স গত সপ্তাহে প্রথম গাদ্দাফির সঙ্গে বিদ্রোহীদের একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতার প্রস্তাব প্রকাশ্যে তুলে ধরে।
বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, লিবিয়া অভিযানের জোট দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে গাদ্দাফির অপসারণের ব্যাপারে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা গাদ্দাফিকে সরে যেতে বাধ্য করার জন্য আরও চাপ বাড়াতে এবং সামরিক অভিযান যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করার তাগিদ দেন। এ অভিযান তাদের পূর্বানুমানের চেয়ে অনেক দীর্ঘ হওয়ায় তাদের উদ্বেগ লক্ষ্য করার মতো ছিল।
গত সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ বৈঠকটি প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে প্যারিসভিত্তি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএফআরআই এর ডেনিস বুচার্ড বলেন, ‘ফ্রান্সের পক্ষ থেকে লিবিয়ার ব্যাপারে একটি রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘বৃটেনও ফ্রান্সের পথ ধরেছে। এ উদ্যোগে অবশ্য ফ্রান্সই নেতৃত্ব দিচ্ছে। ’
তবে পশ্চিমারা যাই করুক লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির দেশ ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনো পর্যন্ত খুব কম। দেশটিতে গত মার্চ থেকে বিদ্রোহ শুরুর পর টানা চার মাস পশ্চিমাদের সামরিক অভিযান গাদ্দাফির গদি খুব একটা টলাতে পেরেছে বলে মনে হয় না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল মাইকেল মুলেন লিবিয়াতে ন্যাটোর অভিযান ফলাফলশূন্য বা স্থবির বলেই বর্ণনা করেছেন।
গত মার্চে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফ্রান্স ও ব্রিটেনের নেতৃত্বে লিবিয়াতে সামরিক অভিযান চালানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১১