লন্ডন: ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্যও লিবিয়ার বিদ্রোহীদের একমাত্র শক্তি হিসেবে দেখছে বলে নিন্দা জানিয়েছে লিবিয়ার গাদ্দাফি সরকার।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম যুক্তরাজ্য থেকে লিবিয়ার সকল কূটনীতিকদের বহিস্কার বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত।
লিবিয়ার জাতীয় ক্রান্তিকাল কাউন্সিল (এনটিসি) বিদ্রোহী নেতা মাহমুদ আর নাকুকে লন্ডনের নতুন লিবীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। নাকু পেশায় একজন সাংবাদিক ও লেখক।
মাহমুদ নাকু একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে বলেন, ‘গাদ্দাফি প্রশাসনের কারণে তিনি বিগত ৩৩ বছর ধরে নির্বাসিত আছেন। ’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘লিবিয়ায় গণতন্ত্র আনয়ণে জাতীয় ক্রান্তিকাল কাউন্সিল অনেক বেশি অঙ্গীকারাবদ্ধ। ’
বুধবার বিকেল পর্যন্ত লন্ডনের নাইটব্রিজে অবস্থিত লিবিয়ার দূতাবাসের সামনে গাদ্দাফি সরকারের সবুজ পতাকা দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যের দিকে বিদ্রোহী প্রতিবাদকারীরা লাল,সবুজ এবং কালো রংয়ের পতাকা নিয়ে দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে।
দুসপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার এনটিসি’কে অনুমোদন দেয়। এর রেশ ধরেই যুক্তরাজ্যও এনটিসি’কে অনুমোদন দিলো। তবে এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে তারা বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ওয়াশিংটনে দূতাবাস খোলার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক অনুরোধ পত্র পেয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যও একই রকম পত্র পাবার কথা স্বীকার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১১