দিল্লিকা লাড্ডু নিয়ে একটা কথা আছে না... যে না খায় সে পস্তায়... আর যে খায় সেও পস্তায়... আমেরিকানদের এখন এই দশা। একটি জরিপে দেখানো হয়েছে, নির্বাচনের দিনের কৃতকর্মেই এখন তাদের পস্তাতে হচ্ছে।
আর জরিপের ফল বলছে, যারা সেদিন ভোট দিতে যান নি তারা পস্তাচ্ছেন... আহা কেনো ভোট দিতে গেলাম না... আর যারা ভোট দিয়েছেন, সংখ্যায় কম হলেও তাদেরও কেউ কেউ বলছেন... এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে কীই ফায়দা হলো।
জরিপ বলছে, যারা ভোট দিতে যাননি তাদের এক-চতুর্থাংশ এখন মনে করছেন- আহা যদি যেতাম ভোট দিতে। আর যারা ভোট দিয়েছেন তাদের তিন শতাংশ বলছেন, ভোট দেওয়াটাই ঠিক হয়নি। আর আট শতাংশ বলছেন, ঠিক করেছেন কি করেননি এখন বুঝতে পারছেন না।
তবে বড় অংশ এই মনে করছে, যাকেই ভোট দিয়েছেন সঠিক কাজটি করেছেন।
ডেমোক্র্যাটদের যারা হিলারিকে ভোট দিয়েছেন তাদের ৯১ শতাংশ মনে করছেন, যা করেছেন ঠিকই করেছেন, তা হিলারি প্রেসিডেন্ট হোন কি নাই হোন। আর ৯৫ শতাংশ রিপাবলিকান যারা ডোনান্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন তারাও বলছেন, ভোট তাদের ঠিকই আছে।
কিন্তু যারা ভোট দিতে যাননি তাদের মধ্যে অন্তত ২৭ শতাংশ বলছেন, ভোট দিতে গেলেই ভালো হতো। আর ৬০ শতাংশ এখনো মনে করছেন, ভোট না দিয়েই তারা ভালো করেছেন।
তবে যারা ভোট দেন নি তাদের ২৭ শতাংশ বলছেন, তারা হয়তো হিলারিকেই ভোট দিতেন। এদের ১৯ শতাংশ বলেছেন, কেন্দ্রে গেলে তাদের ভোট পড়তো ট্রাম্পের ঘরে। ১৬ শতাংশ বলেছেন, তারা ভোট দিতে গেলে তা এই দুই জনের কেউ পেতো না। আর ৩৮ শতাংশ এখনো মনে করেন ভোট না দিয়েই তারা ভালো করেছেন।
যারা ভোট না দিয়ে ঘরে বসেছিলেন তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো কেনো যাননি। উত্তরে অধিকাংশই বলেছেন, তারা আসলে নিবন্ধিত ছিলেন না। তবে ১০ শতাংশেরও বেশি বলেছেন, ভোট না দিতে গিয়ে তাদের খারাপই লাগছে।
গোটা জাতির ১ শতাংশ নাগরিক বলছেন, তারা ভোট দিতে এই কারণে যাননি যে, তারা ভাবতেও পারেননি এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, আর তাদের ভোটটিও হতে পারতো গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
জেডএস/এমএমকে