ঢাকা: ফিদেল কাস্ত্রো। নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক অবিসংবাদিত বিপ্লবী নেতার মুখচ্ছবি।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান কিউবার বিপ্লবী এই নেতা ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট।
বাংলানিউজের পাঠকদের আগ্রহের ভিত্তিতে বিপ্লবী এই নেতার ছয়টি বিশেষ তথ্য তুলে ধরা হলো-
এক. ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলায়েজের পর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় (পাঁচ দশক) রাষ্ট্রের শাসক ছিলেন কাস্ত্রো।
দুই. জাতিসংঘের অধিবেশনে সবচেয়ে দীর্ঘ ভাষণ দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে ফিদেল কাস্ত্রোর। ইন্টারনেটের তথ্য অনুযায়ী, বিপ্লবী এই নেতা ১৯৬০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ৪ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। অবশ্য এর চেয়েও দীর্ঘ সময় ভাষণের রেকর্ড রয়েছে তারা। প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি স্বদেশের জাতীয় পরিষদে (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) ৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন কাস্ত্রো।
তিন. কাস্ত্রো দাবি করেছিলেন, তিনি অন্তত ৬৩৪টি হত্যাচেষ্টা বা ষড়যন্ত্রে বেঁচে গিয়েছিলেন। আর এসব চেষ্টা বা পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নির্বাসিতদের কিছু প্রতিষ্ঠান। কাস্ত্রোর মতে, কুচক্রীরা তাকে হত্যার জন্য ওষুধে ও সিগারেটেও বিষ মিশিয়েছিলো। এছাড়া দেশটিতে তাকে হেয় বা ছোট করার জন্য তার দাড়ি ফেলে দিতে একধরনের পাউডার ব্যবহার করেছিলো কুচক্রী মহল।
চার. কাস্ত্রো একসময় সর্বদাই কিউবান চুরুট টানতেন। কিন্তু ১৯৮৫ সালে তিনি এ অভ্যাস ত্যাগ করেন। এর কয়েক বছর পর কাস্ত্রো বুঝতে পারেন ধুমপানের কুফল। সেসময় তিনি বলেন, শত্রুদের সিগারেটের বক্স দিয়ে সবচেয়ে ভালো কাজ করা যেতে পারে।
পাঁচ. ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফিদেল কাস্ত্রোকে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন বলে উল্লেখ করা হয়।
ছয়. শেষ বয়সে ফিদেল কাস্ত্রোকে জনসম্মুখে তেমন একটা দেখা যায়নি। সম্প্রতি তার ৯০তম জন্মদিনের উৎসবেও দেখা যায়নি তাকে। তবে, ২০১২ সালে দুইবার এবং ২০১৩ সালেও মাত্র দুইবার জনসম্মুখে দেখা যায় কাস্ত্রোকে। আর তার পরের বছর ২০১৪ সালে মাত্র একবার জনসম্মুখে এসেছিলেন বিপ্লবী কাস্ত্রো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
আরএইচএস/এইচএ/