টুইট বার্তায় ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। আর বিশেষ করে প্রধান সারির সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরেকটি টুইট করে তা দ্রুত আবার মুছে ফেলেন। সেটি ছিলো কিছুটা ভিন্ন রকমের। তবে সংশোধিত টুইটে ট্রাম্প এবিসি ও সিবিএস’র নাম দুটো যোগ করে দিয়েছেন। আর তিনি যেসব সংবাদমাধ্যমের কথা তার টুইটে বলছেন সেগুলো ট্রাম্প ও তার প্রশাসন নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক উপস্থাপন করেই প্রেসিডেন্টের বিরাগভাজন হয়েছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পেইনের সময় থেকেই এই সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর ক্ষেপে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে এই টুইটের মোটে একদিন আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস কনফারেন্সে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের তথা মিডিয়াগুলোর ওপর এক হাত নেন। ৭৭ মিনিটের প্রেস কনফারেন্সে তিনি মিডিয়াকে ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ আর ‘অসৎ’ বলে তকমা লাগান। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের পদত্যাগের খবরকেও তিনি ভূয়া খবর বলে এসময় বলেন, রিপোর্টাররা সাবেক এই জেনারেলের বিষয়টি বাজেভাবে উপস্থাপন করেছে। প্রেসকনফারেন্সেই ট্রাম্প বলেন, রিপোর্টাররা এই খবর সঠিক ভাবে তুলে ধরবে না।
হোয়াইট হাউজের এই বক্তৃতায় ট্রাম্প মিডিয়াকে ‘বিরোধী দল’ বলতেও ছাড়েননি।
এছাড়াও যখন তখন টুইটে কিংবা প্রকাশ্য বক্তৃতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মিডিয়াকে দোষারোপ করতে থাকেন।
সবশেষ টুইটের বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোন মন্তব্য করেনি। তবে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সাংবাদিক মহলে।
এনবিসি নিউজের প্রেসিডেন্সেয়াল হিস্টোরিয়ান মাইকেল বেস্কোলস বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর নিক্সন বলেছিলেন: এই সংবাদপত্রটিই মূল শত্রু, প্রতিষ্ঠানগুলোও শত্রু, অধ্যাপকরাও দেশের শত্রু। ”
বাংলাদেশ সময় ০৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
এমএমকে