পোডেস্টা মনে করেন, ‘এফবিআইতে অন্তত কিছু লোক ছিলেন, যারা চেয়েছিলেন হিলারি হেরে যান। তারা হিলারির কোনো বিকল্প পেয়েছিলেন কিনা তা জানানা নেই, কিন্তু তারা চেয়েছিলেন যেন তিনি হেরে যান’।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলছিলেন পোডেস্টা। বিতর্ককে উস্কে দেয় এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত না দিলেও হিলারির এই নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের চেয়ারম্যান এফবিআই’র শীর্ষ কর্তাদের ধুয়ে দিতে ছাড়েননি।
এমনকি এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির দিকে ‘ষড়যন্ত্রের’ ইঙ্গিত করে পোডেস্টা বলেন, নির্বাচনের ঠিক ১১ দিন আগে হিলারির ইমেইল ফাঁসকাণ্ডের আরও তদন্তের ঘোষণা দিয়ে কোমি ‘খুবই বাজে বিবেচনা’ দেখিয়েছেন। যারা এ বিষয়ে অবগত ছিলেন...তারা সবাই বলেছেন ওই সময়ে এই ঘোষণাটা ‘খুবই বাজে সিদ্ধান্ত’ ছিল।
নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে দোষারোপ করতেও পিছপা হননি পোডেস্টা। তিনি সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তোপ দেগে বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকেন্দ্রিক ইমেইল হ্যাকে পুতিন কার্যত ব্যক্তিগতভাবে জড়িত ছিলেন। কারণ রাশিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ‘পোষা কুকুর’ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
গত ডিসেম্বরেই এ কথা বলেছিলেন পোডেস্টা। এবার আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, রাশিয়া স্পষ্টতই হস্তক্ষেপ করেছে নির্বাচনে।
এফবিআই’র অভ্যন্তরে গভীর ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলেও আরেকটি জায়গায় বলেন পোডেস্টা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এইচএ/