শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার পুলিশ তাদের তদন্তের এই অগ্রগতি জানায়। গত সপ্তাহে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান জং-নাম।
মালয়েশিয়া পুলিশের ভাষ্য, ওই দুই নারীই গুপ্তঘাতক হতে পারেন। তারা জং-নামের মুখমণ্ডলে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে পালিয়েছেন।
নিহত জং-নামের মুখমণ্ডলে পাওয়া ‘ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট’কে ‘গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র’ বলে চিহ্নিত করে জাতিসংঘ।
এদিকে, জং-নামের এ মৃত্যুর পেছনে রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে দায়ী না করলেও মালয়েশিয়া পুলিশের অভিযোগ, স্বদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তারাই প্রেসিডেন্টের ভাইকে মেরেছেন।
জং-নামের মরদেহ গ্রহণ নিয়ে পিয়ংইয়ং ও কুয়ালালামপুরের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বও চলছে। উত্তর কোরিয়া জং-নামের মরদেহ তখনই ফেরত চাইলেও মালয়েশিয়া জানিয়ে দেয়, নিহত ব্যক্তির পরিবারের কোনো সদস্য ডিএনএ নমুনা দিয়ে শনাক্ত করেই মরদেহ নিতে পারবেন।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, জং-নামের মরদেহ এখন স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজনকে খুঁজছে কুয়ালালামপুরের পুলিশ। সন্দেহভাজনদের মধ্যে রয়েছেন কুয়ালালামপুরে উত্তর কোরিয়ান দূতাবাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থার এক কর্মী। এরইমধ্যে এই মামলায় উত্তর কোরিয়ার আরও চার সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া। তাদের খুঁজে পেতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে কুয়ালালামপুর।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
এইচএ/