ট্রাম্পযুগের হোয়াইট হাউসের এই অসহায় দশার খবর দিচ্ছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানাচ্ছে।
সিএনএন বলছে, ট্রাম্পের নির্বাচনকালীন প্রচারণা শিবির এবং নির্বাচন পরবর্তী সহযোগীরা মস্কোর কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে গোপনে যে যোগাযোগ করেন, সেটা আঁচ করতে পারার পর তদন্তে নামে এফবিআইসহ কিছু গোয়েন্দা সংস্থা। তখন এ বিষয়ে নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের লোকেরা এফবিআইকে বলেন, ওই যোগাযোগের খবরগুলো মিথ্যা এবং গুজব। কোনো রকমেরই যোগাযোগ হয়নি রাশিয়ার কোনো পক্ষের সঙ্গে। এছাড়া বিষয়টি যেন গণমাধ্যমে না যায় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করে শ্বেতপ্রাসাদের কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তাদের এই অনুরোধের ঢেঁকি যে এফবিআই গেলেনি তা প্রমাণ হয়ে যায় ১৪ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএনে তদন্তের খবরটি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। এরপর তো তা পুরো বিশ্বমিডিয়ায় শোরগোল তোলে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের এ মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার ‘কৌশলী উত্তর’ দেন। তিনি বলেন, আমরা তাদের (এফবিআই) খবরগুলো চাপা দিতে বলিনি। বলেছি, তারা যেন সত্যটা বলে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে।
তবে সিএনএন বলছে, কোনো ঘটনার তদন্তের বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও এফবিআই’র মধ্যে যোগাযোগের সুযোগটা অনেক আগে থেকেই আইনিভাবে রুদ্ধ। সেই বাধা লঙ্ঘন করে তদন্তাধীন বিষয়ে এফবিআই’র সঙ্গে হোয়াইট হাউসের কথা বলাটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর স্পর্শকাতর তথ্য, এমনকি স্বাভাবিক ব্রিফিংয়ের বাইরে কোনো তথ্য ট্রাম্পকে না দেওয়ার বিষয়ে ক’দিন আগে আমেরিকার গণমাধ্যম যে খবর দিয়েছিল, তার সঙ্গে নতুন এ খবর নয়া প্রেসিডেন্টের অসহায়ত্বকেই প্রকাশ করছে। এরমধ্যে ট্রাম্পের বক্তব্যের ঠিক বিপরীতে তার কূটনীতিক বা মন্ত্রীদের কথা-বার্তা সেই অবস্থাকে দেখাচ্ছে আরও ‘হ য ব র ল’ হিসেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
এইচএ/
আরও পড়ুন
** ট্রাম্পের সঙ্গে লুকোছাপা করছেন গোয়েন্দারা!