নর্থ কেনসিংটনের গ্রেনফেল টাওয়ারটিতে জীবিত আর কেউ নেই বলে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান ঘোষণা দেওয়ার পর নিখোঁজদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নিতে হচ্ছে। তাতে মৃতের সংখ্যা বাড়বে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঘটনা যাই ঘটুক, ভবনটিতে কেন এত দ্রুত এমনভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়লো জনগণ তার উত্তর চায়, এবং তা পাওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।
আগুনের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে প্রথম যে নামটি এসেছে তিনি সিরীয় শরণার্থী মো. আল হাজালি, ২৩। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে ছয় জনকে চিহ্নিত করা গেছে। তবে আর কাউকে শণাক্ত করা যাবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে কত জনের মৃত্যু হতে পারে এমন প্রশ্নে মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আশা করা হচ্ছে এই সংখ্যা শত ছাড়াবে না।
এদিকে আগুনের এই ঘটনায় জনরোষ বাড়ছে। তিন শতাধিক মানুষ বৃহস্পতিবার ওই ভবন এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এসময় তাদের তোপের মুখে পড়েন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। তিনি তখন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
এসময় ৭ বছরের একটি শিশু তার পথ রোধ করে জানতে চায়-এই ঘটনায় কতটি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এসময় কেউ একজন সাদিক খানের দিকে বোতলও ছুড়ে যারে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। আর একটি গির্জার ভেতরে চলে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন মেয়র সাদিক।
বাংলাদেশ সময় ০২৪২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এমএমকে