সুলতান আহমেদ (৩৪) নামে এক স্বেচ্ছাসেবীর বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের অন্যতম একটি প্রধান সংবাদমাধ্যম সোমবার (১৯ জুন) এ খবর দিয়েছে। রোববার (জুন ১৮) রাতে লন্ডনের ফিনসবারি পার্ক এলাকায় সেভেন সিস্টার রোডের ওই মসজিদের সামনের রাস্তায় এ হামলা হয়।
** সব মুসলিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লন্ডনের হামলাকারী
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ওই বাংলাদেশিরই মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দশ জন। আটক করা হয়েছে ৪৮ বছর বয়সী হামলাকারীকে। লন্ডন ব্রিজ এলাকায় হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
সুলতান আহমেদ জানান, তার চাচা ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং হামলাকারীকে চিৎকার করতে শুনেছেন যে, ‘সব মুসলিমকে হত্যা করে ফেলবো। ’ নিহত ওই বাংলাদেশি কেবলই মসজিদ থেকে বের হয়েছিলেন। তখনই ছুটে আসা গাড়ি তাকে চাপা দেয়।
মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের হওয়ার পরপরই চালানো এ হামলায় তৎক্ষণাৎ ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা।
হামলার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেন ফিনসবারি পার্ক মসজিদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কোজবার। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রমজান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শফিক এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা দাবি করে বলেন, আমরা মুসল্লিদের উপর এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন বর্বর ও জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন বলেছে, হামলাকারী উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লিদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে। ‘ইসলামফোবিয়া’ থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে দাবি করে ব্রিটেনের মসজিদগুলোতে আরও নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন।
হামলার পর জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। একই সঙ্গে তিনি এ ঘটনায় হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এই হামলাকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বিবেচনা করে পুলিশ তদন্ত করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
হামলার ঘটনার পর লন্ডনে রমজান পালনকারীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এইচএ/