ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর সামর্থ্য নেই নাসার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর সামর্থ্য নেই নাসার! লাল গ্রহ মঙ্গল

দীর্ঘদিন ধরে মানুষ স্বপ্ন দেখছে লাল গ্রহ ‘মঙ্গলে’ যাওয়ার। অনেকে আরও ক’কাঠি এগিয়ে গ্রহটিতে জমি কেনার চিন্তা-ভাবনাও করছেন। এই দূর গ্রহের সম্ভাব্য বাসিন্দারা হয়তো দমে যাবেন নাসার সাম্প্রতিক বক্তব্য শুনে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছে, মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর ব্যয়ভার বহনের সামর্থ্য নাসা’র নেই।  

এর আগেও বেশ কয়েকবার মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছে নাসা। সংস্থাটি বলছে, মঙ্গলে নভোচারী পাঠানো সম্ভব।

কিন্তু সেখানে মানুষের প্রবেশ আর অবতরণের বিষয়টি পুরোই আলাদা।  

এ সপ্তাহে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘আরস টেকনিকা’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে নাসার মনুষ্যবাহী মহাকাশযান পরিচালনার প্রধান উইলিয়াম গারস্টেনমেয়ার বলেন, মানুষকে কখন মঙ্গলে অবতরণ করানো যাবে সে তারিখ আমি নির্ধারিত করে বলতে পারবো না। মূল বিষয়টা হচ্ছে বাজেট সংক্রান্ত। যে বাজেটের প্রস্তাবনা ছিলো তা দুই শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলে বাসযোগ্য ভূ-পৃষ্ঠের দেখা পাওয়া দুষ্কর।  

তিনি বলেন, মঙ্গলে প্রবেশ, অবতরণ ও উপযুক্ত ভূ-পৃষ্ঠের সন্ধান পাওয়াটা আমাদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।  

সংবাদমাধ্যম বলছে, নাসার সবচেয়ে দ্রুতগতির ও শক্তিশালী রকেট দ্য স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এবং দূর মহাকাশযান ওরিয়ন নিয়ে সেখানে যাওয়ার অবতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও এ দু’টি নির্মাণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। স্বভাবতই মঙ্গলে অবতরণ করা যাবে বা পৃথিবী থেকে পাঠানো যাবে, এমন কোনো মহাকাশ যানের নকশা আর করতে পারেনি নাসা।  

মঙ্গলে যাওয়ার পরিকল্পনা অবশ্য শুধু নাসারই নয়। স্পেইস এক্স এবং ব্লু অরিজিন নামের প্রাইভেট কিছু প্রতিষ্ঠানেরও রয়েছে। নাসা অর্থ সংকটের জন্য পিছিয়ে থাকলেও তেমন পিছুটান নেই তাদের।  

স্পেইস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক এরইমধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মঙ্গলে বসতি গড়তে চাইছেন তিনি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সেখানে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে স্পেইস এক্স।  

মঙ্গলযাত্রায় পিছুটানের কথা শোনালেও  চন্দ্রাভিযান নিয়ে আরও আশার বাণী শোনাচ্ছে নাসা। সংস্থার মনুষ্যবাহী মহাকাশযান পরিচালনার প্রধান গারস্টেনমেয়ার বলেছে, যদি আমরা চাঁদে পানির অস্তিত্ব খুঁজে পাই, তাহলে সেখানে আমাদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করবো। মহাকাশ স্টেশন ‘ডিপ স্পেইস গেটওয়ে’র মাধ্যমে চাঁদে কার্যক্রম বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।