এক সময় হাজারো ভক্তের আশা পূরণ করতেন, দিতেন দিক নির্দেশনা এখন তিনিই দিকহীন!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ২০ বছরের সাজা ঘোষণার পর জেলের প্রথম দিন তিনি কেঁদেই কাটিয়েছেন। রাত থেকেই কোনো খাবার খাননি।
তবে যেটুকু খেয়েছেন, তার মধ্যে ছিল কয়েক চুমুক দুধ আর বেশ কয়েক ঢোক পানি। এছাড়া কথাও বলছেন না তিনি। চুপিচুপি কেঁদেই করেছেন সময় পার।
জেলের ভেতরে ঢোকার পর থেকে সাজা ঘোষণা— যা বলার তা ওই আদালতেই বলেছেন, ‘‘ম্যায় বেগুনাহ হুঁ। মুঝে মাফ কর দো। ’’
যদিও এও জানা যায়, তিনি আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন। তবে তাকে নির্দোষ দাবি করে হাজারো উগ্র ভক্ত রাস্তায় নেমে সহিংসতা চালিয়েছেন। সোমবার (২৮ আগস্ট) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হরিয়ানার রোহটাক কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত রাম রহিম সিংকে দুই নারীকে ধর্ষণের পৃথক দুই মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন। গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দোষী সাব্যস্ত করার পর সাজা ঘোষণার জন্য সোমবারকে নির্ধারণ করেন কেন্দ্রীয় তদন্ত অধিদফতরের (সিবিআই) গঠিত এই বিশেষ আদালত।
১৯৯৯ সালে দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বাবার বিরুদ্ধে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কাছে বেনামে যাওয়া চিঠিতে তোলা এ অভিযোগ। তদন্তের ভিত্তিতে ২০০২ সালে রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। এরপর সেই মামলার বিচার করতে হরিয়ানারই পঞ্চকুলায় বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়। ২০০৭ সালে শুনানি শুরুর মাধ্যমে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে গত শুক্রবার রায় ঘোষণা হয়।
‘মুঝে মাফ কার দো’
ধর্ষণের ২ মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড রাম রহিমের
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
আইএ