বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) মায়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগের কথা জানান মোদি।
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতনের মধ্যেই দেশটিতে এই প্রথম দ্বিপক্ষীয় দুইদিনের সফরে আছেন নরেন্দ্র মোদি।
সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার স্টেট কাউন্সিলর, নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক হয় তার। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু সামনে আসবে বলে মনে করা হলেও মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এবং শান্তি বজায় রাখার তাগিদ উঠে আসে কেবল। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।
মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাখাইন রাজ্যে ‘উগ্রবাদী সহিংসতায়’ মায়ানমারের মতোই উদ্বিগ্ন ভারতও। কারণ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর দেশটিতে হামলা এবং এর ফলে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ভাবাচ্ছে।
মায়ানমারের ঐক্য এবং অখণ্ডতা ধরে রাখা বিষয়ে তিনি বলেন, এটি যেন বজায় থাকে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ একটি পথ নির্দেশ করবেন বলে আশাবাদ রাখি। পাশাপাশি শান্তি, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখার বিষয়েও ভারত আশাবাদী।
এসব কথায় সমর্থন জানিয়ে সু চি বলেন, আমাদের দেশে কয়েক সপ্তাহ আগে সংঘটিত সন্ত্রাসী হুমকির পর ভারতের কঠোর অবস্থানের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা একত্রে কাজ করতে পারি।
জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীরা জানাচ্ছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। যাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে অনেকেই আহত-গুলিবিদ্ধ।
মায়ানমারে শান্তি ফেরাতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতারেস। চিঠিতে বলা আছে, উত্তেজনা প্রশমনে পদক্ষেপ নেওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।
এর আগে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাছাড়া মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
সংকট সমাধানে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘকে খোলা চিঠি দিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী বাঙালি ড. মুহাম্মদ ইউনূসও।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখ খুললেন সুচি
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭
আইএ