দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উপদেষ্টা ইউ থাং টুন বলেছেন, যাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ নেই তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।
বৈঠক শেষে বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) এ খবর ছেপেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
তিনি নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের নিরাপত্তার কোনো বিঘ্ন হবে না। সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
দাবি করেন, এমন অনেক মুসলিম আছেন যারা বলেছেন তারা রাখাইনে হামলার শিকার হননি।
তবে জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীরা জানাচ্ছেন, হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। যাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে অনেকেই আহত-গুলিবিদ্ধ। এছাড়া রাখাইনে মারা গেছেন আরও বহু মানুষ; এর সঠিক হিসেবে এখনও জানা যায়নি। সেখানে জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীরাও কাজ করতে পারছেন না।
মায়ানমারে শান্তি ফেরাতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস। চিঠিতে বলা আছে, উত্তেজনা প্রশমনে পদক্ষেপ নেওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।
এর আগে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তাছাড়া মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ইতোমধ্যে তার স্ত্রী, ফার্স্ট লেডি এমিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।
সংকট সমাধানে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘকে খোলা চিঠি দিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী বাঙালি ড. মুহাম্মদ ইউনূসও।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
আইএ