মমতার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বরাত দিয়ে রাজ্যের একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এই খবর দিয়েছে। রোহিঙ্গা নিপীড়নের মধ্যে সম্প্রতি মিয়ানমার সফরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি তার দেশে আশ্রয় নেওয়া জনগোষ্ঠীটির লোকদের ‘পুশ ব্যাক’ করার ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, ‘রোহিঙ্গারা মুসলিম বলেই কেন্দ্র এমন অবস্থান নিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র অমানবিক হলেও আমরা তা হতে পারবো না। ’
মিয়ানমারে সহিংসতার বলি হয়ে গত কয়েক বছরে লাখো রোহিঙ্গা বাংলাদেশ-ভারত-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছে। ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে সংঘাত শুরু হলে ফের নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য মতে, প্রাণভয়ে এবার অন্তত ৩ লাখ রোহিঙ্গা বসত-বাড়ি ছেড়ে নতুন করে বাংলাদেশে ঢুকেছে। ভারতে রয়েছে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। তবে সেদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানকারীর সংখ্যা তেমন নয়।
‘নবান্ন’ সূত্র বলছে, যত রোহিঙ্গাই পশ্চিমবঙ্গে থাকুক, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ- এদের কাউকেই ‘পুশ ব্যাক’ করা হবে না। যদিও নয়াদিল্লির চাপে এ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বন্দি থাকা ২৩ নারী ও শিশু রোহিঙ্গার পরিচয়পত্র বিতরণ বন্ধ রাখতে হয়েছে ইউএনএইচসিআরকে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি-বিশ্লেষক মহল কেন্দ্র ও রাজ্যের এই ‘পুশ ব্যাক’ করা-না করার সিদ্ধান্তের মধ্যে ‘স্বার্থ’ই দেখছেন। তাদের ধারণা, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি তুলে ধরতেই ‘পুশ ব্যাক’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদির সরকার। আর সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়ে বাঙালি মুসলিমদের ‘পুশ ব্যাক’ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
এইচএ/