দেশটির প্রেসিডেন্ট অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ তাই এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সরকার তাদের সঙ্গে কোনো মধ্যস্থতা করবে না। অভিযান চলবে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহীরা এক মাসের জন্য অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেয়। যদিও ‘দ্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’ নামে তাদের সংগঠনের তেমন কোনো উপস্থিতি গত ১৫ দিনে আর লক্ষ্য করা যায়নি।
সেনা অভিযানের কারণে রাখাইনে তৈরি হওয়া মানবিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে কাজ করার সুযোগ দিতে সাময়িক অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
আইএ