সরকার বলেছে, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষজন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংখ্যা আইএসআইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া তাদের আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে।
ভারত সরকার ইতোমধ্যে এফিডেভিট তৈরি করেছে। যাতে গোয়েন্দা তথ্যের সংযুক্তিসহ আগামী ৩ অক্টোবর আদালতে দাখিল করা হবে।
রাজধানী দিল্লিসহ হায়দ্রাবাদ, রাজস্থান ও জম্মুতে রোহিঙ্গারা বাস করছেন। তাদের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
ভারত সরকারও এও বলছে, রোহিঙ্গাদের শক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে। তারা অন্য রোহিঙ্গাদেরও ভারতে প্রবেশে সহযোগিতা করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদের যোগাযোগ তো রয়েছেই।
অনেক রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে অবৈধভাবে ভোটার আইডি কার্ড গ্রহণ করেছেন। সরকারি অন্য সুযোগ-সুবিধার আওতায়ও ঢুকে পড়ছেন তারা।
১৫ পাতার এফিডেভিট প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তী শুনানি ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা বড় হুমকি বলে সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর সফরে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই বিষয়ে অত্যন্ত শক্ত হাতে মোকাবেলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, অবৈধ বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠিন। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছি এবং তা মোকাবেলা করতে কিছু দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভারতে যখন এমন আলোচনা তখন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নয়। তারা ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’, এ অভিযোগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। হত্যার শিকার হয়েছেন দশ হাজারের বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭/আপডেট ১৭৫০ ঘণ্টা
আইএ