সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সংস্কার বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সভায় ট্রাম্পের মুখোমুখি হন শেখ হাসিনা।
এ সময় কুশল বিনিময়কালে ট্রাম্প জানতে চান, বাংলাদেশ কেমন আছে? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা খুবই ভালো করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, শরণার্থী ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট। সুতরাং রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সহযোগিতার বিষয়ে তাকে বলা জরুরি ছিলো না।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে কোনো শরণার্থীকে অনুমোদন না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে আমি যুক্তরাষ্ট্র ও তার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে আর কি আশা করবো? যিনি মনের কথা প্রকাশ করে ফেলেছেন, তাকে আর কেনো সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবো?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ধনী রাষ্ট্র নয়। কিন্তু আমরা যদি ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আরো ৫/৭ লাখ মানুষের জন্য আমরা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারবো।
তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ইস্যুতে ট্রাম্পের গভীর আগ্রহ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শরণার্থী ইস্যুতে সোচ্চার ট্রাম্প।
শেখ হাসিনা জানান, তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আরো বেশী আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে চান।
তিনি বলেন, অং সান সুচিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তার নিজের দেশের মানুষ বলে স্বীকার করা উচিত। মিয়ানমার তাদের দেশ বলে মেনে নেওয়া উচিত। ভোগান্তির শিকার মানুষগুলোকে ফেরত নেওয়া উচিত।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করা সেনা অভিযানের মুখে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ পরিস্থিতিকে ‘জাতিগত নিধন’ আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।
এই জাতিগত নিধন শুরুর আগ পর্যন্ত রাখাইন প্রদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বাস ছিলো। যাদের নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী বলে আসছে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ না হওয়ায় শান্তিতে নোবেল জয়ী সুচির সমালোচনা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সূত্র: রয়টার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
জেডএম/