ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

আওলাকি হত্যায় ওয়াশিংটনে উচ্ছ্বাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪৬, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১১
আওলাকি হত্যায় ওয়াশিংটনে উচ্ছ্বাস

ওয়াশিংটন: ইয়েমেনে আল কায়েদা নেতা আনোয়ার আল আওলাকি নিহত হওয়ার ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ওয়াশিংটনের মার্কিন নেতারা।

সিআইএ এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিশেষ অভিযানে আওলাকিকে হত্যার প্রশংসা করেছেন তারা।



শুক্রবার সকালের দিকে মার্কিন ড্রোন ও জেট বিমানে যৌথ অভিযানে কয়েকজন সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আল কায়েদা নেতা আনোয়ার আল আওলাকি। তাদের মধ্যে আল কায়েদার একটি সাময়িকীর সম্পাদক সমির খানও রয়েছেন। এই সমিরও মার্কিন নাগরিক।

আওলাকি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি বিমানে হামলার পরিবল্পনা করেছিলেন। তার সঙ্গে আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি ইয়েমেনে বসবাস করছেন বলে জানা যায়।

এই সফল অভিযানের প্রশংসা করে ওয়াশিংটনে কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।

এদের মধ্যে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যান পিটার কিং বলেন, ‘আওলাকির এ হত্যা আল কায়েদা ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের বড় সফলতা। গত কয়েক বছর ধরে আওলাকি ওসামা বিন লাদেনের চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন। এই সফলতা প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং মার্কিন জনগণের জন্য গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে বড় উপহার। এই ভয়ঙ্কর খুনির জায়গা পূরণের জন্য অনেক ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী এগিয়ে আসবে এটা নিশ্চিত। এদিকে আমাদের কড়া নজর রাখতে হবে। ’

সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড একটি টুইটবার্তায় বলেন, ‘ আনোয়ার আল আওলাকির মৃত্যুতে পৃথিবী আরও নিরাপদ হল। আল কায়েদার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। ’

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সরকারি কার্যক্রম কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান সিনিয়র সুসান কলিন্স বলেন, ‘আরব উপদ্বীপে আল কায়েদার ইংরেজি জানা নেতা আওলাকি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে অনেক সন্ত্রাসীকে উৎসাহীত করেছেন। আমেরিকার জ্ঞান দিয়েই তিনি আমাদের ক্ষতি করেছেন। ফোর্ট হুড হামলা, টাইমস স্কয়ারে হামলা চেষ্টা, ২০০৯ সালে ক্রিসমাসের দিনে ডেট্রয়েটে বিমান ভূপাতিত করার ষড়যন্ত্র- এসব জায়গাতে তার হাতের ছাপ রয়েছে।
আমেরিকার বিরুদ্ধে বাইরের ঘৃণাকেব তিনি আরও উস্কে দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে আমরা আগের চেয়ে নিরাপদ। ’

কংগ্রেসে গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান মাইক রজার বলেন, ‘ইয়েমেনে আওলাকির হত্যা আল কায়েদার সহায়ক শক্তি ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগে একটি বড় পদক্ষেপ। নিউ মেক্সিকোতে জন্ম নিয়ে তিনি আমেরিকার সংস্কৃতি সম্বন্ধে ভালভাবে জেনেছেন। সন্ত্রাসীদের জন্য তিনি ছিলেন সবচে ভয়ঙ্কর প্রেরণাদাতা। ’

কংগ্রেসে আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট অ্যাডাম স্মিথ বলেন, ‘আওলাকির হত্যা আরব উপদ্বীপে আল কায়েদার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি আর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে পারবেন না। তার কথায় অনুপ্রাণীত হয়ে অনেক বিপথগামী তরুণ আর যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে না। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।