উল্টো সংস্থাটি বলছে, বিপুল সংখ্যক এই জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের চাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তিনি বলেন, এটি বলা যায় যে, তাদের ফিরে যেতে অনেকটা সময় লাগবে। যদি সংঘাত কমে তবেই তারা যাবেন। ফলে এটিই এখন গুরুত্বপূর্ণ যে, তাদের জন্য বাংলাদেশে মধ্যমেয়দী উপযুক্ত সমাধান নিশ্চিত করতে হবে, যাতে দ্রুত কাজে আসে।
এছাড়া গ্রান্ডি ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রযুক্তিগত কমিটি গঠনের ব্যাপারে বলে জানান, কমিটি রোহিঙ্গাদের জনবসতির উৎকর্ষ সাধনে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে কাজ করবে।
পাশাপাশি তিনি সতর্ক হওয়ায় জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পগুলোতে প্রচুর মানুষ বাস করছেন। পরিবেশ অনেকটাই তারা স্বাস্থ্যকর করে তুলেছেন। যেকোনো ধরনের অসুখ সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তারা কীভাবে আরও বেশি সহায়তা পাবেন, বলেন তিনি।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু: নজর নিরাপত্তা পরিষদে
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭/আপডেট ১৫২০ ঘণ্টা
আইএ