শোনা যাক বেঁচে যাওয়া এক পথচারীর মুখেই। সুজয় পানসি নামে ওই পথচারী বলেন, কমিউটার ট্রেনের জন্য জনপ্রিয় ওই রেলস্টেশনে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আটকা পড়া লোকজন ওভারব্রিজ দিয়ে পার হচ্ছিলেন।
‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম পদদলিতের অবস্থা তৈরি হয়। একেতো ব্রিজটি খুবই সরু, তার উপর মানুষজনের ভিড়ে ব্রিজে জনযট অবস্থা তৈরি হয়। সিসি ক্যামেরা ছাড়া সেখানে লোকজনকে শৃঙ্খলায় আনতে দেখা যায়নি কোনো পুলিশকে’।
সুজয় পানসি জানান, এ সময় হঠাৎ দু’টি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। একটি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের, অপরটি লোকজনের ভারে ফুট ওভারব্রিজ ভেঙে যাওয়ার দশা। তবে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শর্ট সার্কিটের খবর। আর এতে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে পদদলিতের ঘটনা ঘটে। যা যাচাই-বাছাইয়ে কাজ করছে রেলওয়ে পশ্চিম।
রেলওয়ে পশ্চিমের কর্মকর্তা রভিন্দ্র ভাকার বলেন, সব ধরনের গুঞ্জনের খবর আমাদের কাছে এসেছে। প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মুম্বাইয়ের লোয়ার পেরেল এবং ইলপিনস্টোন স্টেশনের কাছে ফুটওভার ব্রিজে পদদলিত হয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হন আরো অন্তত ৩৯ জন। প্রাথমিক ব্রিজটির মুখ সরু হওয়ায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭
জেডএস