ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

পাক ব্লাসফেমি আইনের সমালোচকের খুনির মৃত্যুদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৯, অক্টোবর ১, ২০১১
পাক ব্লাসফেমি আইনের সমালোচকের খুনির মৃত্যুদণ্ড

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর ব্লাসফেমি আইনের সমালোচক সালমান তাসিরকে হত্যাকারী সেই দেহরক্ষী মমতাজ কাদরিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।

এ বছরের ৪ জানুয়ারি রাজধানী ইসলামাবাদে সালমান তাসিরকে তার নিজ দেহরক্ষী মমতাজ হোসেন কাদরি গুলি করে হত্যা করেন।



কাদির আদালতে অপরাধ স্বীকার করে বলেছেন, ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা) আইনের সমালোচনা করায় তিনি তাসিরকে হত্যা করেছেন।
 
ব্লাসফেমি আইনের সমালোচকরা বলেন, আইনটি সংখ্যালঘুদের হেনস্তা করার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ব্লাসফেমি আইনের সমালোচক হিসেবে সালমান তাসিরের এই হত্যাকাণ্ড সেই সময় পাকিস্তানকে বিভক্ত করে ফেলে এবং অনেকের কাছে কাদরি নায়কে পরিণত হন।  

শনিবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে কাদরির বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। এ সময় গণমাধ্যমের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী সুজাউর রহমান একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, আদালত কাদরিতে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ রুপি অর্থদ- দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় শত শত লোক আদালতের বাইরে কাদরির পক্ষে ‘এক কাদরিকে শাস্তি দিলে, হাজার কাদরি জন্ম নেবে’ বলে স্লোগান দেয়।

কাদরির আইনজীবী একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা বেআইনি কারণ, তিনি একজন ধর্মত্যাগীকে হত্যা করেছেন যিনি হযরত মোহম্মদকে (সা:) অবমাননা করেছেন। কাদরির উচ্চ আদালতে আপিল করার অধিকার আছে। ’

সংবাদদাতারা বলছেন, পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুদণ্ড খুব কমই কার্যকর করা হয়েছে।

পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনটি আলোচনায় আসে ২০১০ সালের নভেম্বরে। এ সময় ইসলামের নবী মোহাম্মদের (সা:) প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করায় পাঁচ সন্তানের জননী খ্রিস্টান নারী আছিয়া বিবিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

সালমান তাসির আছিয়ার পক্ষে ওই মামলায় লড়েন এবং ওই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।