ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতীয় নৌবহরে আরো এক অত্যাধুনিক সাবমেরিন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
ভারতীয় নৌবহরে আরো এক অত্যাধুনিক সাবমেরিন সাবমেরিন 'কারাঞ্জ'কে সমুদ্রে ভাসানোর আগে। ছবি-সংগৃহীত

ভারতের নৌবহরে আরও একটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন যুক্ত হতে যাচ্ছে। মুম্বাইয়ের মাজগাঁও ডক থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী বুধবার  স্করপিয়ন গোত্রের তৃতীয় এই সাবমেরিনকে সমুদ্রে ভাসায়। এটি এখন বছর খানেক সি-ট্রায়ালে থাকবে। 

‘কারাঞ্জ’ নামের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই সার্বমেরিনটি শত্রুর নজর এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে পারবে। সর্বাধুনিক স্টিলথ প্রযুক্তিতে নির্মিত হবে বিধায় এটি সহজেই শত্রুর রাডারের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলবে।

ট্রায়াল শেষে এটি নৌবহবে যুক্ত হবে।

এর আগে ভারত নিজস্ব ডকইয়ার্ডে সফলতার সঙ্গে স্করপিয়ন গোত্রের দুটি সাবমেরিন নির্মাণের সফলতা দেখিয়েছিল। এদের একটি আইএনএস কালবরী (INS Kalvari) নৌবাহিনীর সাবমেরিন বহরে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম লিখিয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর কমিশনিং করেন।

আর ‘খাণ্ডেরি’ নামের অপর একটি সাবমেরিন এখন নির্মাণ শেষে সি ট্রায়াল দিচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই এটি নৌবহরে যুক্ত হবে।

‘কারাঞ্জ’ নামের স্করপিয়নগ্রোত্রের তৃতীয় সাবমেরিনটির জলে ভাসানোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা।

জলতলে এবং জলের ওপর দু’জায়গাতেই সমান তালে যুদ্ধ করতে সক্ষম এ ধরনের সাবমেরিন একসঙ্গে বহুবিধ মিশন বাস্তবায়ন করতে পারে। যুদ্ধ করা ছাড়াও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সমুদ্রে মাইন পেতে রাখা এবং সমুদ্র-এলাকা পর্যবেক্ষণ করাসহ বহুবিধ কাজ করতে সক্ষম এটি।

ভারতের সাবমেরিন বহরের বেশিরভাগই পুরনো এবং যুগ-অনুপযোগী। চীনের নৌশক্তির বিপুল উত্থানের কারণে ভারতীয় সাবমেরিন বহরের আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক এই স্করপিয়ন সাবমেরিন সে চাহিদার আংশিক পূরণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।