ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় নিহত বেড়ে ২৮১, ফের সুনামির শঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
ইন্দোনেশিয়ায় নিহত বেড়ে ২৮১, ফের সুনামির শঙ্কা সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি (সংগৃহীত ছবি)

ইন্দোনেশিয়ার লামপাং প্রদেশে সুন্দা প্রণালীর আশপাশের সৈকতে সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ১৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মাঝামাঝি সুন্দা প্রণালীতে অবস্থিত ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত আছে। এর ফলে ফের সুনামির আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার জন্য বার বার সতর্ক করছে তারা।  

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে প্রদেশটিতে সুনামি আঘাত হানে।  

সুনামিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ মৃত্যুর খবর এসেছে ইন্দোনেশিয়ার পান্দেগলাং, দক্ষিণ লামপাং ও সেরাং এলাকা থেকে। সুনামির আঘাতে কয়েকশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাটিতে উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। এসব এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।  উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে।  

ইন্দোনেশিয়ান জিওফিজিক্যাল এজেন্সির (বিএমকেজি) ধারণা, এই সুনামির সৃষ্টি হয়েছে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাগরতলে ভূমিধসের কারণে।  

জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মাঝে সুন্দা প্রণালীই জাভা সাগরকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে।  

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির উদগীরণের ফলে সমুদ্রতলে ভূমিকম্প হয়। আর এ থেকে সৃষ্ট সুনামি প্রায়ই দেশটিতে আঘাত হানে। গত সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরের বালারোয়া ও পেতোবোতে সুনামিতে অন্তত দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।