লন্ডন: ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং কানাডা। সোমবারই এই অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হবে।
তারা জানিয়েছেন, অবরোধের লক্ষ্য মূলত ইরানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর। তবে এই অবরোধ সরাসরি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পকে উদ্দেশ্য করে নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা গত রোববার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইরানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রাথমিক মানি লন্ডারিংয়ের জন্য উদ্বেগজনক বলে চিহ্নিত করতে চাচ্ছে।
এ ধরনের পদেক্ষেপ কার্যকর করতে হলে মার্কিন ব্যাংকগুলোকে প্রমাণ করতে হবে যে, তাদের বিদেশি অ্যাকাউন্ট থেকে ইরানের সঙ্গে কোনও কাজ করা হবে না। এটা করা হলে বিদেশি ব্যাংকগুলো ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রাখতে নিরুৎসাহিত হবে।
তবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং তেল ও গ্যাস খাতে কোনও অবরোধ আরোপের চিন্তা আপাতত করছে না যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর চায় ইরানের পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে অবরোধ আরোপ করতে যাতে, বিদেশি কোম্পানিগুলো এ খাতে সরাসরি বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হয়।
পরমাণু অস্ত্রের উচ্চাকঙ্খা নিয়ে ইরান কাজ করছে- জাতিসংঘের আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এমন প্রতিবেদন দেওয়ার পর পশ্চিমারা নতুন করে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে।
ইরানের আনবিক শক্তিখাত ছাড়াও জ্বালানি এবং অর্থনৈতিক খাতে অবরোধ আরোপের চিন্তা ভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ব্রিটেন এবং কানাডা তাদের অর্থনীতি এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে ইরানের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার উদ্যোগ নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের খবরে মধ্যপ্রাচ্যে উদ্বেগ বাড়ছে এবং পশ্চিমা দেশগুলির প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটি তাগাদার বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইরানের জ্বালানি এবং ব্যাংকিং খাতে অবরোধ আরোপের একটি প্রস্তাব গত বছর মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে কোনও বিদেশি কোম্পানি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১১