ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি একটি স্মারকলিপিকে কেন্দ্র করে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে পদত্যাগ করেছেন।
হাক্কানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।
তবে রাষ্ট্রদূত হাক্কানি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নাকচ করেছেন। এ অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক লবিস্ট (তদবিরকারী)।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই হাক্কানিকে ইসলামাবাদে তলব করে পদত্যাগ করতে বলা হয়। এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেসামরিক নেতৃত্ববৃন্দ, সেনাপ্রধান ও গোয়েন্দাপ্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, হাক্কানিকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।
এদিকে, হাক্কানি তার টুইটার বার্তায় বলেন, ‘ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অসহিষ্ণুতা থেকে মুক্ত করে নতুন পাকিস্তান গড়তে আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। এ নিয়ে আমি শক্তি প্রয়োগ করতে চায়। ’
পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ঘনিষ্ঠ হাক্কানি বার বারই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে বলছেন, তিনি এধরনের কোনো স্মারকলিপি তৈরি ও পেশ করেননি।
ওই স্মারকলিপির বরাত দিয়ে গত ১০ অক্টোবর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ একটি প্রবন্ধ লেখেন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে। এতে তিনি বলেন, বিন লাদেন হত্যাকাণ্ডের পর জারদারি সেনা নেতৃত্ব পরিচর্তন করতে চান এবং সব জঙ্গি সংগঠনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছেন। এ তথ্য তিনি ওই স্মারকলিপি থেকেই পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
২০০৮ সাল থেকে হুসেইন হাক্কানি যুক্তরাষ্ট্রে পাক রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১১