হাজার হাজার সমর্থকের সামনে গুইদো বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা আসবে। এছাড়া কারাকাসের সমাবেশে মাদুরো বিরোধী নেতা বলেন, দেশ থেকে দখলদার (মাদুরো) চলে যেতে হবে।
রাজধানীর সমর্থকদের গুইদো এও বলেন, ভেনেজুয়েলায় ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবিক ত্রাণ ঢুকবে। তা না হলে আমাদের তিন লাখ নাগরিক রয়েছেন, যারা না খেয়ে মারা যাবেন। সেইসঙ্গে প্রায় দুই মিলিয়ন লোক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন।
এর আগে বামপন্থী প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছিলেন, ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাঠানো হস্তক্ষেপের একটি উপায়। এই ত্রাণ আমরা সমর্থন করবো না।
মাদুরোকে উৎখাত করার জন্য গত মাসে গুইদো আন্দোলনের ডাক দেন। সেসময় তিনি নিজেকে ‘অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণাও দিয়ে বসেন। এটাকে আবার যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৫০টি দেশ স্বীকৃতিও দিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে ২০টি দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
মাদুরো সরকারবিরোধী উত্তাল পরিস্থিতিতে ভেনেজুয়েলায় ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ত্রাণবাহী যান পৌঁছেছে কলম্বিয়া-ভেনেজুয়েলা সীমান্তে। কিন্তু ভেনেজুয়েলায় প্রবেশমুখী তিয়েনদিতাস সেতু কার্গো দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে সেনাবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ মাদুরো প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে সেনাবাহিনী এ যান ভেনেজুয়েলায় ঢুকতে দিচ্ছে না।
এদিকে, রাশিয়া এবং চীন সমর্থিত মাদুরোকে দ্রুত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এ জন্য আল্টিমেটামও দিয়েছিল। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ।
মাদুরোর নেতৃত্বাধীন সময়ে তেল সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে হাইপারইনফ্ল্যাশন, মন্দা এবং খাদ্য ও ওষুধের মতো মৌলিক দ্রব্যেরও অভাব দেখা দেয় দেশটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
টিএ