ঢাকা: মিশরের সেনাবাহিনী দ্রুত বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেও কায়রোর তাহরির স্কয়ারে জড়ো হওয়া লাখো বিক্ষোভকারী তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার চারদিন পর মঙ্গলবার রাতে দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল মোহামদ হোসেন তানতাওয়ি ঘোষণা দেন, ২০১২-এর জুলাই নাগাদ দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ফিল্ড মার্শালের এ ঘোষণাকে যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা ফিল্প মার্শালের পদত্যাগ দাবি করেছে।
মঙ্গলবার রাতেও তাহরির স্কয়ারে দাঙ্গা পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এখানেই গত মার্চে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে দেশটির লাখ লাখ জনতা। বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে হন হোসনি মোবারক।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, তাহরির স্কয়ারে অ্যাম্বলেন্স এসে আহত লোকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। আহত হয় শত শত লোক। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশকে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। কেউ কেউ জানিয়েছে, দেখা মাত্রা গুলিও করছে পুলিশ। আলেক্সান্দ্রিয়া, সুয়েজ, পোর্ট সাইদ ও আসওয়ান শহরেও সংঘর্ষ চলছে।
এরই মধ্যে বিক্ষোভের মুখে হোসনি মোবারকের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গঠিত মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেছে। সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদ পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছে।
এর আগে, সেনাবাহিনী বলেছিল, আগামী ২০১২-এর শেষের দিকে বা ২০১৩ সালের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে না। তবে সেনাবাহিনীর এ পদক্ষেপকে তারা সন্দেহের চোখে দেখে। সাধারণ মানুষ মনে সামরিক কর্তৃপক্ষ ক্ষমতা স্থায়ী করতে যাচ্ছে। আর এ কারণেই তারা ফের সরকারে বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১১