ইসলামাবাদ: যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে শেরি রেহমানের নাম ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী শেরি রেহমান সদ্য পদত্যাগ করা রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানির স্থালাভিষিক্ত হলেন।
পাক সামিরক বাহিনীর বিরুদ্ধে সহায়তা চেয়ে ওয়াশিংটনের কাছে দেওয়া একটি স্মারকলিপি নিয়ে বিতর্কের জেরে গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন হুসেইন হাক্কানি।
ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সংসদ সদস্য শেরি রেহমানকে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির খুব ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে ধারণা করা হয়। তাকে বিবেচনা করা হয়, পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনীতিকদের মধ্যে একজন।
পাকিস্তানের বিতর্কিত ব্লাসফেমি আইনের তিনি একজন কঠোর সমালোচক।
হাক্কানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। ওসামা বিন লাদেন হত্যাকাণ্ডের পর এ সংক্রান্ত এক স্মারকলিপিতে তিনি মার্কিন সহায়তা চান।
তবে রাষ্ট্রদূত হাক্কানি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নাকচ করেছেন। এ অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক লবিস্ট (তদবিরকারী)।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই হাক্কানিকে ইসলামাবাদে তলব করে পদত্যাগ করতে বলা হয়। এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেসামরিক নেতারা, সেনাপ্রধান ও গোয়েন্দাপ্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, হাক্কানিকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।
এদিকে, হাক্কানি তার টুইটার বার্তায় বলেন, ‘ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অসহিষ্ণুতা থেকে মুক্ত করে নতুন পাকিস্তান গড়তে আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। এ নিয়ে আমি শক্তি প্রয়োগ করতে চাই। ’
পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ঘনিষ্ঠ হাক্কানি বার বারই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে বলছেন, তিনি এ ধরনের কোনো স্মারকলিপি তৈরি ও পেশ করেননি।
ওই স্মারকলিপির বরাত দিয়ে গত ১০ অক্টোবর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজ একটি প্রবন্ধ লেখেন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে। এতে তিনি বলেন, বিন লাদেন হত্যাকাণ্ডের পর জারদারি সেনা নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে চান এবং সব জঙ্গি সংগঠনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছেন। এ তথ্য তিনি ওই স্মারকলিপি থেকেই পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
২০০৮ সাল থেকে হুসেইন হাক্কানি যুক্তরাষ্ট্রে পাক রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১১